‘‌আরও কঠোর আইন আনা জরুরি’‌, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি সাংসদ সুখেন্দুর

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। তারপর নাগরিক সমাজ রাতের দখল নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। সেই রাতেই ভাঙচুর করা হয় আরজি কর হাসপাতাল। এই আন্দোলনকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও সমর্থন করা হয়েছিল। কারণ এমন নির্মম ঘটনার প্রতিবাদ করে গর্জে উঠে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় সমর্থন করে বলেছিলেন, ‘‌আমি মেয়ের বাবা। নাতনির দাদু হিসেবে এই প্রতিবাদে সামিল হব।’‌ এবার এই সাংসদ নারী নিরাপত্তা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন। আইন আরও কঠোর করার আবেদন করেছেন তিনি।

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাজপথে নামেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অপরাধীর ফাঁসি চাই স্লোগান তুলে সিবিআই তদন্তের ডেডলাইন বেঁধে দেন। এবার মহিলাদের উপর নির্মমতা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের আরও কড়া হওয়া উচিত বলে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। আরজি কর আসপাতালের ঘটনা টেনেই তাঁর বক্তব্য, ‘‌শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় দেশের অনেক জায়গাতেই এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটছে। এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না হয় তাই আরও কঠোর আইন আনা জরুরি।’‌

এদিকে গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দেওয়া তাঁর চিঠিতে সুখেন্দু শেখর রায় উল্লেখ করেন, ‘‌এটাই সঠিক সময় কঠোর কেন্দ্রীয় আইন আনার পক্ষে। এই আইন আনতে শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল আনা হোক। বাস, ট্রাম থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সুরক্ষা বাড়াতে হবে। সিসিটিভি থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীদের সংখ্যাও বাড়ানো হোক। দেশের প্রতি জেলায় তিনটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করা হোক। ধর্ষণ করে খুনের মতো অভিযোগ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ যাতে করা যায়।’‌

\আরও পড়ুন:‌ মহিলাকে নগ্ন করে মারধর–দৌড় করানোর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে, নন্দীগ্রাম যাচ্ছে তৃণমূল

অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় রাতের দখল নিতে রাস্তায় নেমেছিল নাগরিক সমাজ। সেদিনই আরজি কর হাসপাতালে হামলা করা হয়েছিল। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন–ধর্ষণ করার ঘটনা নিয়ে সুখেন্দুশেখর রায় সোশ্যাল মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‌মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসা অনেক হয়েছে। চলুন একসঙ্গে প্রতিবাদ করি।’‌ এই ঘটনার এখন তদন্ত করছে সিবিআই। আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। লালবাজার খুঁজে বের করেছে কারা ওই রাতে হামলা চালিয়েছিল। তার জেরে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।