‘‌মমতার পদত্যাগ করা উচিত’‌, আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় তোপ দাগলেন নির্ভয়ার মা

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। তারপর নাগরিক সমাজ রাতের দখল নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। সেই রাতেই ভাঙচুর করা হয় আরজি কর হাসপাতাল। এই ঘটনা নিয়ে এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন নির্ভয়া কাণ্ডে নির্যাতিতার মা আশা দেবী। আজ, শনিবার তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন। কারণ এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মত আশা দেবীর। সংবাদসংস্থা পিটিআই–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন নির্ভয়ার মা।

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাজপথে নামেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অপরাধীর ফাঁসি চাই স্লোগান তুলে সিবিআই তদন্তের ডেডলাইন বেঁধে দেন। এবার এই ঘটনাটি নিয়ে আশা দেবী বলেন, ‘‌একজন মহিলা হিসাবে তাঁর কড়া পদক্ষেপ করা উচিত ছিল অপরাধীদের বিরুদ্ধে। কারণ তিনিই ওই রাজ্যের প্রধান। তাই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত এমন পরিস্থিতি সামলাতে না পারার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতা প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে নিজে প্রতিবাদে নেমে জনতার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আরও কঠোর আইন আনা জরুরি’‌, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি সাংসদ সুখেন্দুর

এদিকে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে তরুণী চিকিৎসক যিনি সেমিনার হলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তেন নির্দেশ দেওয়ায় অভিযুক্তকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিতে হয়। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে নির্ভয়াকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। তারপর চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় গোটা দেশ কেঁপে উঠেছিল। ২০২০ সালে চারজনের ফাঁসি হয়।

অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় রাতের দখল নিতে রাস্তায় নেমেছিল নাগরিক সমাজ। সেদিনই আরজি কর হাসপাতালে হামলা করা হয়েছিল। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন–ধর্ষণ করার ঘটনা নিয়ে দ্রুত শাস্তি চান আশা দেবী। নির্ভয়ার মায়ের কথায়, ‘‌যতক্ষণ না কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি ধর্ষকদের আদালতে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করবে, ততক্ষণ দেশের নানা প্রান্তে প্রত্যেকদিন এই ধরনের নারকীয় ঘটনা ঘটতেই থাকবে। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজের মতো জায়গায় যখন মেয়েরা নিরাপদ নয়, তখন দেশে মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।’‌