‘সংবিধান ও আইন বিরোধী’, দুর্নীতি মামলায় তদন্তের অনুমতি দিতেই তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

জমি কেলেঙ্কারি মামলায় অস্বস্তিতে পড়লেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। কর্ণাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন মাইসুরু আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এমইউডিএ) জমি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তাতে নাম জড়ায় কংগ্রেস নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাই নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কয়েকজন সমাজকর্মী। তার ভিত্তিতে রাজ্যপাল বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে, কংগ্রেস এ নিয়ে বিজেপির সমালোচনা করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যপাল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা ‘সংবিধান-বিরোধী’ এবং ‘আইন-বিরোধী’।

আরও পড়ুন: বাল্মীকি কেলেঙ্কারিতে সিদ্দারামাইয়ার নাম জড়াতে চাপ, ED-র বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলার

জানা গিয়েছে, টিজে আব্রাহাম, প্রদীপ এবং স্নেহাময়ী কৃষ্ণা নামে তিনজন রাজ্যপালের কাছে চিঠি লিখে জমি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। রাজভবনের এক আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন যে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারের অনুমোদন দিয়েছেন। এর আগে, এই দুর্নীতিতে গত ২৬ জুলাই রাজ্যপাল গেহলট সিদ্দারামাইয়াকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছিলেন। কেন তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত নয়, তার কারণ জানাতে বলা হয়েছিল। জবাবে কর্ণাটক মন্ত্রিসভা অভিযোগ তুলেছিল, রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক ভূমিকার অপব্যবহার করছে। এই নোটিশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

সম্প্রতি মুডার জমি বেআইনিভাবে বণ্টন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে । সেক্ষেত্রে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে সিদ্দারামাইয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে মুডা অবৈধভাবে তাঁর স্ত্রীর মালিকানাধীন চার একর জমির উপর একটি লেআউট তৈরি করেছে। আসলে ওই জমিটি তাঁর স্ত্রীর নামেই ছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে সরব হয় বিরোধী বিজেপি এবং জেডি (এস)। সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদ মিছিল করে তারা। দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে পদত্যাগ করার দাবিও জানিয়েছে। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বড় অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল। কংগ্রেস প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে।