দুই সপ্তাহ পর এসে দফতরে বসতে পারলেন না উপজেলা চেয়ারম্যান

সরকার পতনের পর থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ আড়ালে থেকে রবিবার (১৮ আগস্ট) নিজ দফতরে এসেছিলেন নীলফামারীর ডিমলার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু। তবে কার্যালয়ে এলেও বিক্ষোভের মুখে দফতরে বসতে পারেননি তিনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৩ দিন পর উপজেলা চেয়ারম্যানের ফিরে আসার খবরে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন। তাদের সঙ্গে বিএনপি ও দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।

স্থানীরা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকেই আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়েছেন নীলফামারীর ডিমলার সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারসহ দলটির ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। প্রায় দুই সপ্তাহ পর দফতরে এসেছিলেন সাবেক এমপির চাচাতো ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু।

একই দিন কার্যালয়ে এসেছিলেন সাবেক এমপির ভাতিজা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এএইচএম ফিরোজ। তাকেও দফতরে বসতে দেওয়া হয়নি। 

ডিমলা উপজেলা বিএনপি’র সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম লিটন বলেন, বিনা ভোটের উপজেলা চেয়ারম্যাকে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই উপজেলাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। তাদের তোপের মুখে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান পালাতে বাধ্য হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিএনপির কার্যালয়ে একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়। আরিফুল ইসলাম লিটন ছাড়াও এতে বক্তব্য দেন, ডিমলা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধান, উপজেলা সদর বিএনপির সভাপতি ডিআর জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল জব্বার, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব আশিক উল ইসলাম লেমন প্রমুখ।