Health tips: হার্ট সুস্থ রাখতে চান? মেনে চলুন বিশেষজ্ঞদের এই ৫টি টিপস

মানুষ এখন নিজের জীবনে এতটাই ব্যস্ত যে স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া এখন আর হয়ে ওঠে না। কিন্তু প্রতিদিনের ব্যস্ততার মধ্যে যদি কিছুটা সময় আপনি নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিতে পারেন, তাহলে অকাল মৃত্যুর ভয় এবং পরিমাণ দুটোই বোধহয় কমে যেতে পারে।

বর্তমানে যে রোগে সব থেকে বেশি আক্রান্ত যুবসমাজ, সেটি হল হৃদরোগ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিমেষে একটি প্রাণ শেষ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু হঠাৎ করে কী এই হৃদরোগ হয়? আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করলে কী অকাল মৃত্যু আটকানো যায় না? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

HT লাইফ স্টাইলের সাথে আলাপচারিতায় ডক্টর সিদ্ধার্থ জৈন, যিনি ইন্দরের অ্যাডিয়াক সাইন্সের ডিরেক্টর তিনি বলেন, স্থূলতা অবশ্যই হৃদরোগের অন্যতম কারণ হতে পারে কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে যে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৫০ শতাংশ LDL – C উচ্চমাত্রায় থাকলেও ৬০ শতাংশ মানুষের কিন্তু স্থূলতার সমস্যা ছিল না।

(আরও পড়ুন: চুপি চুপি এসে বিরাট ক্ষতি করে ব্রেন স্ট্রোক, আগেভাগে প্রতিকার ও লক্ষণ জানা জরুরি)

হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম আরও একটি কারণ হল খারাপ কোলেস্টেরল। যদি আপনি একটু সময় অন্তর অন্তর কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করতে পারেন তাহলে কিছুটা হলেও আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। কোলেস্টরেলের মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য অনেকটাই উন্নত থাকে।

ডক্টর মিলন চাগ যিনি ইন্টারভেনশনাল অ্যান্ড হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট কার্ডিওলজিস্ট, লিপিডোলজিস্ট এবং আমেদাবাদের মারেঙ্গ সিআইএমএস হাসপাতালের প্রিভেন্টিভ কার্ডিলজিস্ট তিনি বলেন, লিপিড প্রোফাইলের পরীক্ষা করা উচিত ১৮ বছরের পর থেকেই। প্রথম থেকেই যদি আপনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যে থাকেন তাহলে আপনার হৃদরোগের সমস্যা কমে যাবে অনেকটা।

হার্ট সুস্থ রাখার পাঁচটি পদক্ষেপ

১) স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা: কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত সুষম খাদ্য আহার করা উচিত নিয়মিত। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে মোট ১৫০ মিনিট মাঝারি অ্যারোবিক ব্যায়াম করা উচিত।

২) ওষুধ: জীবনধারা পরিবর্তন যদি একেবারেই করার না যায় তাহলে কোলেস্টেরলের মাথা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য ওষুধের শরণাপন্ন হতে হবে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শের মতো চলতে হবে আপনাকে।

(আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীত গাইল ছেলে, গিটার বাজালেন বাবা! স্বাধীনতা দিবসে এ যেন এক অন্য নিথিন কামাথ)

৩) অন্যান্য শারীরিক সমস্যার দিকে নজর দিতে হবে: হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যাগুলির উপর নজর দিতে হবে। এই সমস্ত সমস্যা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে হার্ট সুস্থ থাকে।

৪) নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল স্ক্রিনিং: এটি নির্দিষ্ট সময় অন্তরের অন্তর লিপিড প্রোফাইল ক্লিনিং করলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক আছে কিনা।

৫) LDL- C সম্পর্কে অবগত থাকা: আপনার বয়স, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের কথা বিচার করার পর দেখুন আপনার LDL- C মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিনা। এটি যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে।