Jharkhand Ex Chief Minister: বিজেপিতে যোগ দেবেন চম্পাই সোরেন? কলকাতা হয়ে এলেন দিল্লিতে, শুভেন্দুর সঙ্গে কথা..

ঝাড়খণ্ডের জলসম্পদ মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন রবিবার দুপুরে দিল্লি পৌঁছেছেন। তিনি শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে।

‘আমি এখন যেখানে আছি সেখানেই আছি। আমি ব্যক্তিগত সফরে দিল্লি এসেছি। আমার মেয়ে এখানে… আমি তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। মিডিয়ায় কী খবর প্রচার হচ্ছে তা আমার জানা নেই। কী ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এখনই কিছু বলতে পারছি না। বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে চম্পাই সোরেন দিল্লি পৌঁছে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ’আমি পরে বলব।’

এদিকে, তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) পতাকা তাঁর বাড়ি এবং সেরাইকেলা-খারসাওয়ান জেলার জিলিজগোড়া গ্রাম থেকে পতাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তার নিজ নির্বাচনী এলাকা সেরাইকেলায় তার মহুলদিহ অফিস ও মার্কেট থেকেও পতাকা সরিয়ে ফেলা হয়।

আর্থিক তছরুপের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ৩১ জানুয়ারি হেমন্ত সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করার পরে চম্পাই সোরেন ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

৬৮ বছর বয়সী চম্পাই সোরেন কলকাতা থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে দিল্লি পৌঁছেছিলেন, যেখানে তিনি একটি হোটেলে ছিলেন এবং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা (এলওপি) শুভেন্দু অধিকারীর সাথে বৈঠক করেছিলেন বলেও অভিযোগ। শনিবার রাতে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে রাঁচি থেকে জামশেদপুর হয়ে কলকাতায় যান তিনি।

যদিও চম্পাই সোরেন এই খবর উড়িয়ে দিয়ে বলেন, কলকাতায় কারও সঙ্গে দেখা হয়নি।

শনিবার চম্পাই সোরেন তাঁর রাঁচির বাড়িতে ৪০ মিনিটের বৈঠক করেন জেএমএমের বরখাস্ত বিধায়ক লোবিন হেমব্রমের সঙ্গে। লোবিন হিন্দুস্তান টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন যে তিনি দু-একদিনের মধ্যে বিজেপিতে যোগ দেবেন এবং চম্পাই সোরেনের সাথে তাঁর ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী তথা বিজেপির নির্বাচনী সহ-দায়িত্বপ্রাপ্ত শিবরাজ সিং চৌহান চম্পাই সোরেনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং চম্পাই সোরেন শীঘ্রই অন্তত ৬ জন বিক্ষুব্ধ জেএমএম ও কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।

৮২ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় বর্তমানে ভারত জোট সরকারের ৪৫ জন বিধায়ক রয়েছেন এবং যদি চম্পাই ছয় বা তার বেশি বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে স্থানান্তরিত হতে সক্ষম হন, তবে সমীকরণ নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হবে এবং মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে শক্ত অবস্থানে ফেলে দেবে কারণ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র ৩৬ জন বিধায়ক থাকবে। চম্পাই সোরেন জেএমএম ছেড়ে চলে যাওয়ায় কোলহানে ১৪ টি বিধানসভা আসন থাকা জেএমএমকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নির্বাচনী কো-ইনচার্জ হিমন্ত বিশ্বশর্মাও আগুনে ঘি ঢেলেছেন যখন তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি সরকারের গত পাঁচ বছরে মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের ৬ মাসের শাসনকালে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছিল।

আর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা করে ইনসেনটিভের ক্রেডিট নিচ্ছেন, যা ছিল চম্পাই সোরেনের মস্তিষ্কপ্রসূত। সমস্ত বিজ্ঞাপন থেকে চম্পাইজির ছবিও উধাও হয়ে গিয়েছে।

এদিকে, সদ্য এনডিএ শরিক জেডিইউতে যোগ দেওয়া নির্দল বিধায়ক সরযূ রায় হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ‘ধোঁয়া থাকলে আগুন কোথাও হতে বাধ্য। সে যাই হোক, চম্পাইজী একজন অত্যন্ত প্রবীণ এবং পরিণত নেতা। শেষ পর্যন্ত তিনি যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন, তা রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে।