Kunal Ghosh: নন্দীগ্রামে শ্লীলতাহানি! প্রতিবাদে কুণাল, আরজি কর থেকে নজর ঘোরাতে ময়দানে TMC?

আরজি কর নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। সেমিনার হলে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। শিউরে উঠছে গোটা দেশ। প্রতিবাদের ঝড় দেশ জুড়ে। এসবের মধ্যেই এবার নন্দীগ্রামের গোকূলনগরে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ। বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, নন্দীগ্রাম গোকূলনগর। তৃণমূল করার অপারেধে মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারল বিজেপি। তাঁর কিশোরী মেয়ের শ্লীলতাহানি করল জঘন্যভাবে। রবিবার মহিলাকে দেখতে নন্দীগ্রামে আট সদস্যের প্রতিনিধিদল পাঠান। ভয়ানক আঘাত শরীর জুড়ে। থানায় কথা হল। তারপর নির্যাতিতাকে নিয়ে কলকাতায়।

 

কুণাল ঘোষ এই পোস্ট করার পরেই এক নেট নাগরিক লিখেছেন, নিরীহ ফুটবল প্রেমীদের কেন মারছেন তার আগে জবাব দিন…

এদিকে আরজিকরের ঘটনার জেরে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পেশার মানুষ এবার একতাবদ্ধ হতে শুরু করেছে। প্রতিবাদের ঝড় উঠছে। তবে তার মধ্য়েই উঠল গোকূলনগরের ঘটনা। তবে অনেকের মতে, আরজিকর থেকে নজর ঘোরাতে তৃণমূল চেষ্টার কোনও কসুর করছে না। নানাভাবে নানা প্রসঙ্গ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

কী হয়েছিল নন্দীগ্রামে?

নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগরে বাড়ি ওই গৃহবধূর। তাঁর স্বামী চেন্নাইয়ে কর্মরত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পরিবার বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিল। কিন্তু আবার বিজেপিতে ফেরার জন্য চাপ শুরু হয় বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ। শুক্রবার রাতে বাড়িতে নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে ওই গৃহবধূ একা ছিলেন। তখন স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি নেতৃত্ব বাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ।

বিজেপি নেতা–কর্মীরা দুষ্কৃতী সঙ্গে নিয়ে ওই গৃহবধূর উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। ওই রাতে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর ওই গৃহবধূর শাড়ি ধরে টানাটানি করা হয় বলে অভিযোগ। কুণাল সেই ছবিও পোস্ট করেছেন, কিন্তু সেই ছবি পোস্ট করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে চেন্নাই থেকে বাড়ি ফেরেন ওই গৃহবধূর স্বামী। এই ঘটনায় তিনি লিখিত অভিযোগ থানায় দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় বিজেপির বুথ সভাপতি তাপস দাসকে গ্রেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।

বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ মাইতি বলেন, ‘‌একটা পারিবারিক বিষয়কে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক মাটি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে।’‌ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের অভিযোগ, ‘‌৩০–৩৫ জন বিজেপির লোকজন ও দুষ্কৃতীরা গৃহবধূর উপর নির্যাতন চালায়। নগ্ন করে হাঁটায়। মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানাবে এই ঘটনা। তীব্র নিন্দা করছি। ধিক্কার জানাই বিজেপিকে।’‌