Kunal-Rahul: RG কর নিয়ে মমতার সমালোচনা, এবার সিদ্দাকে ইস্তফা দিতে বলবেন? রাহুলকে তোপ কুণালের

আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা তো বটেই, শরিক ইন্ডিয়া জোটের নেতারাও সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও আরজি করের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন। এবার এনিয়ে রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এবার কর্ণাটকের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে রাহুলকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা।

আরও পড়ুন: ‘‌রাত জমায়েতের নাটক দরকার নেই’‌, আরজি কর কাণ্ডে সিপিএমকে তোপ কুণালের

কর্ণাটকে মাইসুরু আরবান ডেভলপমেন্ট অথরিটি বা ‘মুডা’র জমি বণ্টনে কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেক্ষেত্রে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী এবং শ্যালক জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। 

যদিও সিদ্দারামাইয়ার দাবি, জমির আসল মালিক তাঁর স্ত্রী। তবে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, যে জমি বণ্টনে দুর্নীতি করা হয়েছে। এ নিয়ে কর্ণাটকের রাজ্যপাল আগেই মুখমন্ত্রীকে শোকজ করেছিলেন। যদিও তা অসাংবিধানিক বলে দাবি করে কর্ণাটক সরকার। এরপরেই বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন। তাই নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে রাহুলকে নিশানা করেছেন কুণাল ঘোষ।

তৃণমূল নেতা লিখেছেন, ‘রাহুল গান্ধীজি আপনি কি আপনার মুখ্যমন্ত্রীকে এবার পদত্যাগ করতে বলবেন? তাঁর বিরুদ্ধে একটি গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আরজি করের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা না জেনেই আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেছেন। এখন দয়া করে আপনি আপনার মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে কি পদক্ষেপ করবেন?’

উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনা নিয়ে রাহুল গান্ধী রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বলেছিলেন, নির্যাতিতা মহিলাকে ন্যায়বিচার দেওয়ার পরিবর্তে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে হাসপাতাল এবং স্থানীয় প্রশাসনের উপর গুরুতর প্রশ্ন উঠছে। তিনি আরও লেখেন, ‘কলকাতায় এক জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের জঘন্য ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ। যে ভাবে তাঁর উপর নৃশংস, অমানবিক অত্যাচার হয়েছে, তাতে চিকিৎসক সমাজ এবং নারীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ স্পষ্ট। এই ঘটনা আমাদের ভাবতে বাধ্য করেছে যে, মেডিক্যাল কলেজের মতো জায়গায় যদি চিকিৎসকেরা নিরাপদ না থাকেন, তা হলে অভিভাবকেরা কোন ভরসায় তাঁদের মেয়েকে পড়তে পাঠাবেন?’