Mpox virus: করোনার পর নতুন মহামারি কি বিশ্বজুড়ে? এবার সুইডেন আক্রান্ত এমপক্সে

২০২০ সালে হয়ে যাওয়া করোনা মহামারীর রেশ এখনও পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ববাসী। তার মধ্যেই নতুন ভাইরাস দেখা গেল সারা বিশ্বে। Mpox নামক এই নতুন ভাইরাসটি ইতিমধ্যেই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অবস্থা ভয়ানক হওয়ার আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ WHO ঘোষণা করে দিয়েছে জনস্বার্থে জরুরি অবস্থা বা এমারজেন্সি।

গত বৃহস্পতিবার এই ভাইরাসটি প্রথমবারের জন্য আফ্রিকার ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ল সুইডেনে। ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এটি আফ্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৫ আগস্ট প্রথম আফ্রিকার বাইরে সুইডেনে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল এক ব্যক্তির হাত ধরে।

জানা গেছে, আফ্রিকায় থাকাকালীন ওই ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছিলেন, সুইডেনে ফিরে আসার পর এই ভাইরাস সুইডেন বাসীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সুইডেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘সুইডেনে Mpox – এর ক্লেড আই নামক একটি ভ্যারিয়েন্ট – এর খোঁজ পাওয়া গেছে।’

(আরও পড়ুন: গাঁটে ব্যথা? কোন কোন ঘরোয়া টোটকা নিলে ভালো থাকবেন জানুন)

রাষ্ট্রসঙ্ঘের উপ মুখপাত্র ফারহান হক বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা সম্পর্কে বলেন, ‘Mpox ভাইরাস কে আন্তর্জাতিক ‘উদ্বেগের জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই ভাইরাসটি আফ্রিকা এবং সুইডেনসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

Mpox কী? 

 

Mpox হলো এমন একটি ভাইরাল রোগ যা মাঙ্কি পক্স ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। এটি অর্থোপক্স ভাইরাসের প্রজাতি। ১৯৯৮ সালে বিজ্ঞানীরা প্রথম এই ভাইরাসটি শনাক্ত করেছিলেন। এই ভাইরাসটি প্রথম বানরের শরীরের সনাক্ত করা হয়েছিল, তারপর ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। প্রথম মধ্যে এবং পশ্চিম আফ্রিকার মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের পাদুর্ভাব দেখা যায়।

Mpox – এর লক্ষণ: 

 

এই ভাইরাসের সংক্রমিত ব্যক্তিদের প্রায়শই হাত, পা, মুখ, বুক, যৌনাঙ্গের কাছাকাছি ফুসকুড়ি লক্ষ্য করা যায়। ফুসকুড়ি শেষ পর্যন্ত পুঁজে পরিনত হয়। সঠিক সময় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে এটি স্ক্যাব তৈরি করে। অন্যান্য লক্ষণ গুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, পেশী ব্যথা মাথাব্যথা।

(আরও পড়ুন: কাউকে হাই তুলতে দেখলেই হাই ওঠে? সংক্রামক হাই তোলার পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ জানুন)

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের তরফ থেকেও এম পক্স বা মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের তিনটি কেস শনাক্ত করা হয়েছে, তবে রোগীরা আদৌ কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। আরব থেকে আসা রোগীদের মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে, যদিও নমুনা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি।