কল্যাণ–সায়নের তুমুল বাকযুদ্ধ কলকাতা হাইকোর্টে, আরজি কর ইস্যুতে প্রবল উত্তেজনা

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যজুড়ে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন এই নারকীয় ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। এই আবহে আজ, সোমবার রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে রাখিবন্ধন উৎসব। রাখিবন্ধন উৎসবের মধ্যে দিয়ে ভাই–বোনের সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়। সেখানে কলকাতা হাইকোর্টে দেখা গেল প্রবল উত্তেজনা। তুমুল ঝগড়া শুরু হয় প্রবীণ আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম তরুণ আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে।

এদিকে কোমর বেঁধে ঝগড়া শুরু করেন দুই আইনজীবী। কল্যাণবাবুও ছাড়ার পাত্র নন। সায়নও পাল্লা দিয়ে ঝগড়া করছেন। কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে এই ঘটনায় হতবাক বিচার প্রার্থীরাই। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ইস্যুতে আজ, সোমবার কটু মন্তব্য করার অভিযোগে আইনজীবী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য আইনজীবীরাও এই বচসায় পরস্পরের পক্ষ নেয়। তাতে আরও বাকযুদ্ধ তুঙ্গে ওঠে। তাতেই তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বি– গেটের সামনে।

আরও পড়ুন:‌ ‘ভাইবোনের পবিত্র বন্ধনকে কোনও অশুভ শক্তি যেন কাটতে না পারে’‌, বার্তা মমতার

অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় দ্রুত ন্যায়বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে আজ মিছিল করেন আইনজীবীরা। এই প্রতিবাদের মধ্যেই সায়নের অভিযোগ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সরাসরি বলেছেন, ভোটে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তখনই পাল্টা বাকবিতণ্ডায় জড়ান সায়নও। সায়নের উদ্দেশে আরজি কর ইস্যু নিয়ে কটূ মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের পক্ষ থেকেও পাল্টা কটূ মন্তব্য করা হয়। তখনই তুমুল বচসা ও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দু’‌পক্ষ এবং তাঁদের সহকর্মী আইনজীবীরা।

এছাড়া এদিন আইনজীবীদের প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব ছিলেন ফিরদৌস শামিম, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, সায়ন বন্দোপাধ্যায়রা। ফিরদৌস, তরুণজ্যোতির মতো আইনজীবীরা বলেন, ‘‌আরজি কর হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা প্রকাশ করার মতো ভাষা আমাদের জানা নেই। রাজ্য সরকার নানাভাবে মামলাটিকে লঘু করার চেষ্টা করছে। কল্যাণবাবু আইনজীবী হলেও উনি আগে তো তৃণমূল নেতা। তাঁর এমন কটাক্ষ ঝগড়ার সৃষ্টি করেছে।’‌ যদিও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা অভিযোগ, ‘‌আমি একজন বর্ষীয়ান আইনজীবী। আমাকেকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে। একটা শান্তিপূর্ণ মিছিলে কেন এমন ঘটনা ঘটবে?‌’‌