শিক্ষার্থী-ভোক্তা অধিকারের অভিযানে জব্দ হলো মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট

ভোক্তা অধিকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযানে বি‌ভিন্ন প্রকা‌রের মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে এ অভিযান চালা‌নো হয়।

অভিযা‌নে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী‌দের দা‌বি, রেফ্রিজারেটরে মজুত করা মেয়া‌দোত্তীর্ণ রিএজেন্টগু‌লো রোগ নির্ণ‌য়ে ব‌্যবহার করা হ‌তো। তথ‌্য-প্রমা‌ণের ভি‌ত্তি‌তে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষ‌কে সঙ্গে নি‌য়ে অভিযা‌নে অংশ নি‌য়ে‌ছেন।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দা‌বি, মেয়া‌দোত্তীর্ণ এসব রিএজেন্ট দিয়ে তারা রোগ নির্ণয় ক‌রেন না।  মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সেগু‌লো ল‌্যা‌বে রাখার কারণ জান‌তে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অভিযানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান লিমন বলেন, ‘প্যাথলজি বিভাগে দেখা যায়, তারা ‌রোগ নির্ণ‌য়ে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার করছেন। সেখানে থাকা রে‌ফ্রিজা‌রেট‌রে সেগুলো মজুত ছিল। ব‌্যবহার না কর‌লে রে‌ফ্রিজা‌রেট‌রে থাকার কথা নয়। এগু‌লো ব‌্যবহার ক‌রে অনেক রোগীর ডায়াগন‌সিস রিপোর্ট দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। যেটা রোগী‌দের স্বাস্থ‌্যসেবার জন্য ভয়ঙ্কর ব্যাপার। ছাত্রসমাজের প্রত্যাশা, এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভোক্তা অধিকারের কুড়িগ্রাম জেলা অফিসের উপ-পরিচালক এ এস এম আসুম উদ দৌলা বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্টগুলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প‌্যাথল‌জি ল‌্যাব থেকে সরিয়ে ফেলা উচিত ছিল। ফ্রিজের গায়ে লেখা ছিল ২০২৫ সাল পর্যন্ত ওষুধগুলো চলবে। ভেতরের ওষুধগুলোর ২০২৩ সালের আগস্টে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সেগুলো আমরা ল‌্যা‌বের মেশিনের আশেপাশেও পেয়েছি। এটি দুঃখজনক। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জব্দকৃত রিএজেন্টগুলো ধ্বংস করা হ‌য়ে‌ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ‌কে অধিকতর স‌চেতন হওয়ার জন‌্য বলা হ‌য়ে‌ছে।’

এ ব‌্যাপা‌রে জান‌ার জন্য হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহকে খোঁজ করে হাসপাতা‌লে পাওয়া যায়‌নি।

হাসপাতালটির আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, ‘আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী যাদের অবহেলা প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।’