Cervical cancer: ভ্যাকসিন নাকি সচেতনতা, কীভাবে আপনি কমাতে পারবেন সারভাইকাল ক্যানসারের ঝুঁকি

মহিলাদের শরীরে এখন ব্যাপকভাবে বাসা বাঁধছে সারভাইকাল ক্যানসার বা জরায়ু মুখের ক্যানসার। বিশেষ করে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে জরায়ু মুখের ক্যানসার এখন বিশেষ চিন্তার কারণ। সারাবিশ্বে মহিলাদের ক্যানসারের মধ্যে এটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ভারতের প্রতিবছর ৮ মিনিটে একজন মহিলা জরায়ু ক্যানসারে মারা যান।

এই জরায়ু ক্যানসার আটকানোর জন্য চলতি বছরে বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের টিকা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই মর্মে গত শুক্রবার সারভাইকাল ক্যানসার সচেতনতা এবং ভেক্সিনেশনের একটি ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল লখনৌতে।

এই প্রসঙ্গে লখনৌ আর ডেপুটি চিফ মিনিস্টার ব্রজেশ পাঠক বলেন, ‘সবসময় শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবেন, সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও তথ্যের উপর বিশ্বাস করবেন না। ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতা না জন্মালে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা অসম্ভব।’

(আরও পড়ুন: আপনার আবেগকে আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে চান? জেনে নিন মনোবিদের টিপস)

কী কী কারণে হতে পারে সারভাইকাল ক্যানসার? 

 

৯৯% সারভাইকাল ক্যানসারের ক্ষেত্রে এইচপিভি সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। ১০ থেকে ২০ বছর স্থায়ী এইচপিভি সংক্রমন থাকলে ক্যানসারে রূপান্তরিত হতে পারে। রাসায়নিক, হরমোন এবং অন্যান্য কার্সিনোজেনগুলিও সারভাইকাল ক্যানসারের ঝুঁকির অন্যতম কারণ। এছাড়া ধূমপান এই ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে।

সারভাইকাল ক্যানসারের লক্ষণ: 

 

যোনিপথে অস্বাভাবিক রক্তপাত, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, তলপেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা মলদ্বার দিয়ে রক্ত, সহজে ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া, খিদে কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব, হাড়ে ব্যথা, কাশি এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

(আরও পড়ুন: প্রবাসী দাদার জন্য মন খারাপ? চিন্তা না করে পাঠান রাখি পূর্ণিমার শুভেচ্ছাবার্তা)

ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ? 

 

৯ থেকে ১৪ বছর বয়সীরা এইচপিভি ভ্যাকসিন নিতে পারেন। ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী মেয়েরা এই ভ্যাকসিনের ৩টি ডোজ দিতে পারেন ৬ মাসের মধ্যে। ৯ থেকে ২৬ বছর বয়সী ছেলেরাও এই ভ্যাকসিন নিতে পারেন, মেয়েদের ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে। তবে গর্ভবতী মহিলা, অসুস্থ ব্যক্তি, এলার্জি সমস্যা থাকলে এই ভ্যাকসিন না নেওয়াই ভালো।

সচেতনতার মাধ্যমে জয়: 

 

প্রথমেই যদি এই ক্যানসার সনাক্ত করা যায় তাহলে কিন্তু খুব সহজেই লড়াই করা সম্ভব। এই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার সবথেকে বড় উপায় হল জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া, প্রতিদিন ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত জল পান করা এবং সব থেকে বড় কথা হলো অবসাদ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা। এই নিয়মগুলি মেনে চললে খুব সহজেই জরায়ুর ক্যানসার থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন আপনি।