Pharmacy student death: ‘খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা’, জঙ্গিপুরে ফার্মাসি পড়ুয়ার মৃত্যুতে দাবি দরিদ্র পরিবারের

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের কলেজ থেকে ফার্মাসি পড়ুয়া তহিদ করিমের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এবার খুনের অভিযোগ তুলল পরিবার। একইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, পুলিশ এ নিয়ে কোনও অভিযোগ নিতে চায়নি। উল্টে তাদেরকে পুলিশের তরফে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ না জানানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আরজি কর কাণ্ডের আবহেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: নিখোঁজ থাকার পর কলেজের হস্টেল থেকে উদ্ধার ফার্মেসি পড়ুয়ার দেহ, তদন্তের দাবি

জঙ্গিপুরের জাকির হোসেন ইনস্টিটিউট নামে ওই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন করিম। বাড়ি মালদার যদুপুরে। গত বুধবার কলেজের হোস্টেল থেকে উদ্ধার হয় করিমের নিথর দেহ। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, করিমের চোখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। এছাড়াও দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারপরই রঘুনাথগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন মৃতের বাবা। কিন্তু, পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি করা হচ্ছে। তাদের পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই অভিযোগ নেওয়া হবে। এছাড়াও থানা ও কলেজ সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি না জানানোর জন্য তাদের চাপ দেয় বলে তারা দাবি করেন।

মৃত ছাত্রের বাবা রেজাউল করিম পেশায় একজন লরি চালক। তিনি বলেন, ‘কোনওরকম মানসিক অবসাদ ছিল না আমার ছেলের। ঘটনার আগের দিন কথা বলে আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। মঙ্গলবার থেকে ছেলের সঙ্গে কথা হয়নি। আমার ছেলের ফোনে সুইচ অফ ছিল। পরে আমি হস্টেলে যেতেই আমার ছেলের রুমমেট ফোন করে জানায় তহিদ মারা গিয়েছে।’ তাঁর কথায়, ‘আমি হস্টেলে না গেলে ছেলের মৃত্যুর কথা জানতেই পারতাম না। আমাদের জানানো হয়নি। অথচ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল।’ 

তাঁর অভিযোগ, দেহ লোপাট করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাছাড়া তিনি দাবি করেছেন, পুলিশ বলেছিল পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হবে। কিন্তু, সেবিষয়ে তাদের জানানো হয়নি। পুলিশ অভিযোগও নিতে চায়নি। জানা যাচ্ছে, ওই কলেজটি একজন তৃণমূল বিধায়কের। তাহলে এক্ষেত্রে সত্যিই কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, করিম পাড়াতে খুব মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত ছিলেন। গ্রামবাসীদের হুঁশিয়ারি, পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নিলে আরজি করের ঘটনার মতো রাস্তায় নেমে আন্দোলন হবে।