আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ কাণ্ডে ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর অনুমতি এসে গিয়েছে। যে টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় যে কেউ মিথ্যা বলছে কিনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় যখন কোনও প্রশ্ন করা হয়, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হৃদস্পন,রক্তচাপ, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মতো বিভিন্ন শারীরিক মানদণ্ড পরিমাপ করা হয়। যখন কেউ মিথ্যে কথা বলে, তখন সাধারণত সেইসব মাপদণ্ডের হেরফের হয়ে থাকে। সেটার মাধ্যমেই নির্ধারণ করা হয় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মিথ্যে বলছে কিনা। যদিও সবসময় পলিগ্রাফ টেস্ট পুরোপুরি নির্ভুল হয় না বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করেনি CBI
কলকাতার তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন) ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় আপাতত শুধুমাত্র সঞ্জয়কেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরবর্তীতে সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে মামলার তদন্তভার। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Controversial slogan on RG Kar Case: ‘জোট বেঁধেছে বাঙাল-ঘটি, ভয় পেয়েছে …..’, জুতো দেখিয়ে স্লোগান উঠছে, দাবি BJP-র
সঞ্জয় ছাড়াও কেউ জড়িত ছিল, উঠছে অভিযোগ
যদিও অভিযোগ উঠেছে যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সঞ্জয় একা জড়িত ছিল না। সেই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তরুণী চিকিৎসকের মা জানান, সঞ্জয় যে শুধু একা দোষী, সেটা মানতে পারছেন না। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ভিতরের কেউ নিশ্চয়ই জড়িত আছেন বলে দাবি করেন তরুণী চিকিৎসকের মা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মেয়ে যে সেমিনার হলে একা রয়েছেন, সেটা নাহলে কীভাবে জানল সঞ্জয়?
আরও পড়ুন: Mamata and Sandip alleged connection: ‘মমতাকে খাম দিতেন গুণধর সন্দীপ, ২০২১-তে ভালো পায়ে ব্যান্ডেজ করেন’, বিস্ফোরক দাবি