Student rape: মুর্শিদাবাদে নবমের ছাত্রীকে ধর্ষণ, অপমানে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা, গ্রেফতার যুবক

আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। কর্মক্ষেত্রে এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে। ক্রমেই সেই দাবি জোরদার হয়ে উঠছে নাগরিক সমাজে। সেই আবহে মুর্শিদাবাদে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় অপমানে আত্মঘাতী হল ওই স্কুল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ফরাক্কায়। জানা গিয়েছে, অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী। এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার ৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক ছাত্রীর নিকটাত্মীয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: অযোধ্যায় গণধর্ষণে জারি রাজনৈতিক চাপানউতোর, DNA টেস্টের দাবি অখিলেশের

নির্যাতিতার বাবা জানান, তার স্ত্রী অসুস্থ। চোখের অস্ত্রোপচার থেকে শুরু করে কমপক্ষে ১০ টি মতো অস্ত্রোপচার হয়েছে। বাড়ি বহরমপুরে। কিন্তু, তারা থাকেন ফরাক্কার কোয়ার্টারে। নির্যাতিতা ছাত্রীর সঙ্গে অস্ত্রোপচারের সূত্রেই ৪ বছর আগে অভিযুক্ত যুবক দয়াময় দাসের বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে অভিযোগ, এর পরে তাকে নানা ভাবে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে ওই যুবক। মোবাইলে অশ্লীল ছবি তুলে রাখে। তা দেখিয়ে তাকে একাধিবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও ওই যুবক ছাত্রীর ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালাত। বিষয়টি জানতে পেরে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে একটি সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। তারপরেও যুবক তার ওপরে নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে  এর পরেই গত ৪ অগস্ট অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ছাত্রী। পরের দিন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এরপর গতকাল থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান নির্যাতিতার বাবা। তবে এতদিন পর কেন তিনি অভিযোগ জানালেন? সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান, তাঁর স্ত্রী অসুস্থ, তিনি নিজেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তার বাবাও হাঁটতে অক্ষম। সেই কারণে অভিযোগ জানাতে দেরি হয়েছে। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ প্রশাসন যেভাবে তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘থানার আইসি থেকে শুরু করে অন্যান্য পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা আমার সঙ্গে যেভাবে সহানুভূতি দেখিয়েছে তাতে আমি অভিভূত হয়েছি। মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। খুব ভালো কাজ করেছে পুলিশ। ’ জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নবব শ্রেণির ছাত্রী। ফরাক্কার একটি স্কুলে সে পড়ত।নির্যাতিতার বাবা জানান, মেয়ে বরাবরই খুব ভালো রেজাল্ট করত। বরাবরই প্রথম স্থান অধিকার করে এসেছে। তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু, আচমকা সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।