Sukhendu Sekhar Roy Update: ‘আমি ভয় করব না’, আরজি কর কাণ্ডে ‘বিদ্রোহী’ সুখেন্দুরশেখরের গলায় ‘নয়া সুর’

তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে গতকাল দুই দফায় তলব করেছিল লালবাজার। তবে তিনি যাননি। তবে তিনি যে তাঁর অবস্থান থেকেও নড়বেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। গতকাল রাতে তিনি ইঙ্গিতবহ ভাবে একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়- ইউটিউবের একটি গানের লিঙ্ক। গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমি ভয় করব না’। সঙ্গে কোনও ক্যাপশন বা কিছু ছিল না। তবে মনে করা হচ্ছে, পুলিশি তলবের পরিপ্রেক্ষিতে বার্তা দিতেই এই পোস্ট করেছেন সুখেন্দুশেখর। (আরও পড়ুন: আজ লালবাজার যাবেন ডঃ কুণাল সরকার ও সুবর্ণ গোস্বামী, সঙ্গে যাবে চিকিৎসকদের মিছিল)

আরও পড়ুন: RG করের সেমিনার হলের পাশের দেওয়াল ভাঙা হয় কেন? বিতর্কের আবহে মুখ খুললেন মন্ত্রী

আরও পড়ুন: ‘কোনও জিন্স পরা মহিলা…’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ নিয়ে ফের বিস্ফোরক উদয়ন গুহ

উল্লখ্য, এর আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের গ্রেফতারি চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য সেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘সিবিআইকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে হবে। প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ও পুলিশ কমিশনারের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কে এবং কেন আত্মহত্যার গল্প ভাসিয়েছিল তা জানা আবশ্যক। কেন হলের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হল, কারা এই সঞ্জয় রায়কে এত শক্তিশালী হতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল, কেন ৩ দিন পরে স্নিফার কুকুর ব্যবহার করা হয়েছিল। তাদের মুখ খোলন।’

এরপরই রবিবার বিকেল ৪টেয় সুখেন্দুকে লালবাজারে হাজিরা দিতে বলা হয় পুলিশের তরফ থেকে। তবে তিনি যাননি। পরে ফের রাতেও তলব করা হয় তৃণমূল সাংসদকে। তখনও যাননি। আর সেই সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আমি ভয় করব না’ গানটি পোস্ট করেন তিনি। এদিকে সুখেন্দুশেখরকে তৃতীয়বারের মতো আজকেও তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, শনিবার রাতের পোস্টের জন্য সুখেন্দুশেখরকে লালবাজারে তলব করা হয়েছে। সেই পোস্টে স্নিফার কুকুর ব্যবহার করা নিয়ে সুখেন্দু যে দাবি করেছে, তা নাকি ভুয়ো। পুলিশ দাবি করে, দুই দফায় স্নিফার ডগ নামানো হয়েছিল ঘটনাস্থলে। এই আবহে ভুয়ো খবর ছড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে সুখেন্দুকে তলব করা হয় লালবাজারে।

এদিকে সিপি-কে গ্রেফতারির দাবিতে করা সুখেন্দুর পোস্টের জবাবে পালটা পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণালবাবু এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আমিও আরজি কর মামলায় বিচার চাই। তবে পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে করা এই মন্তব্যের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করছি আমি। এই মামলার বিষয়ে জানতে পেরে তিনি নিজের সর্বস্ব দিয়েছেন। ব্যক্তিগত ভাবে পুলিশ কমিশনার নিজের কাজ করে গিয়েছেন এবং তদন্তকে ইতিবাচক দিকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এই ধরনের পোস্ট খুবই দুর্ভাগ্যজনক, তাও আমার দলের এমন এক সিনিয়র নেতার থেকে।’ এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল যে চরম অস্বস্তিতে, তা স্পষ্ট।