‘‌কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে না’‌, আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে জানিয়ে দিলেন কুণাল

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর এই অপরাধের তদন্ত করছে সিবিআই। এই আবহে চলছে জোরদার আন্দোলন। এই ঘটনার পর আজ, মঙ্গলবার সিবিআই অফিসাররা আরজি কর হাসপাতালে আবার প্রবেশ করেন। আর আজই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সিআইএসএফ মোতায়েন করার কথা বলেন। কিন্তু লিখিত নির্দেশে আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় সিআইএসএফ মোতায়েনের কথাটির উল্লেখ নেই। সুতরাং সেটা হচ্ছে না বলেই খবর।

ধর্ষণ করে খুনের অপরাধ করার অভিযোগে এখন সিবিআইয়ের হাতে আছে সঞ্জয় রায়। তাকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও তল খুঁজে পায়নি সিবিআই। কেটে গিয়েছে একসপ্তাহ। সিবিআই অফিসাররা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি। যা নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সরাসরি বক্তব্য পেশ করল তৃণমূল কংগ্রেস।আজ সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আরজি কর হাসপাতালে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে না। আগের সিদ্ধান্ত বদল করল সুপ্রিম কোর্ট।’‌

জনরোষ তৈরি হচ্ছে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে। গত কয়েক মাস ধরেই হাসপাতালে সঞ্জয় রায়ের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। অধিকাংশ রাতেই সে প্রচণ্ড মদ‌্যপান করে আরজি কর হাসপাতালে ঢুকত। ইচ্ছামতো ঘোরাঘুরি করত হাসপাতালে বলে সূত্রের খবর। এই নিয়ে এখন তদন্ত চলছে। তার মধ্যেই আজ মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছি।’‌ এই কথা বলার পর থেকেই রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় বইতে থাকে।

আরও পড়ুন:‌ জনসমক্ষে নির্যাতিতার নাম বলে দেন সন্দীপ ঘোষ, প্রাক্তন অধ্যক্ষকে তলব করল লালবাজার

এছাড়া আজ সিবিআই অফিসারদের আরজি কর হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেখে চিৎকার করে ওঠেন চিকিৎসকরা। তাঁদের প্রশ্ন, ‘তদন্তে কেন এত দেরি হচ্ছে?’‌ যার উত্তর মেলেনি।‌ ইতিমধ্যেই পাঁচবার সিবিআই দফতরে ঘোরা হয়ে গিয়েছে সন্দীপ ঘোষের। বারবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। এবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর এবং হামলার ঘটনার কথা ওঠে আদালতে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা উঠে আসে শুনানিতে। তবে অবশেষে লিখিত নির্দেশে সিআইএসএফ মোতায়েনের নির্দেশ না থাকায় ঝড় থেমে গিয়েছে।