Dooars Pujo Booking: ডুয়ার্সে অধিকাংশ হোটেল-রিসর্ট ফাঁকা, পুজোর বুকিংয়ের মন নেই, পাহাড়মুখী পর্যটকরা

পুজোর ছুটিতে ডুয়ার্স নাকি পাহাড়? মোটামুটি অগস্ট মাস থেকেই এই চর্চাটা শুরু হয়ে যায়। হোটেল-রিসর্টে আগাম বুকিং করেই যেতে চান অনেকে। এদিকে এবার একটু আগে পুজো। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ডুয়ার্সের অধিকাংশ হোটেলেই বুকিং হয়নি। আর এতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। কারণ এই পুজোর ছুটির দিকেই তাকিয়ে থাকেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। গাড়ি চালক, ট্যুর গাইড, হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টের মালিকরা এই দিনগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডুয়ার্সে পুজোর বুকিং হয়নি। প্রায় অর্ধেক হোটেল রিসর্টে বুকিং হয়নি। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল?

আসলে প্রতিবারই পুজোর সময় পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্রতি একটা বাড়তি ঝোঁক থাকে। তবে পর্যটকরা আপাতত পাহাড়ে যাওয়ার রাস্তা পুজোর সময় কেমন থাকে সেটার উপর খেয়াল রাখছেন। যদি দেখা যায় যে পুজোর সময় পাহাড়ে যাওয়ার রাস্তা ঠিকঠাকই রয়েছে তবে অধিকাংশ পর্যটক পাহাড়েই চলে যাবেন। অন্যদিকে বিগত দিনে অনেকে ভুটানে যেতেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ডুয়ার্সে কয়েকদিন কাটিয়ে তাঁরা ফিরতেন। কিন্তু ভুটানে বর্তমানে বেড়াতে যাওয়ার খরচ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। সেকারণে ভুটানের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। অগত্যা হয় দার্জিলিং নয়তো সিকিমে যাওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছেন অনেকেই। 

সূত্রের খবর লাটাগুড়ি, গরুমারায় অধিকাংশ রিসর্টে এখনও বুকিং হয়নি। এই প্রবণতা যদি চলতে থাকে তবে সমস্যায় পড়বেন অনেকেই। কারণ অন্তত মাস দেড়েক আগেই অধিকাংশ রিসর্ট, হোটেল বুকিং হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা হয়নি। 

এদিকে ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খুলবে। এই জঙ্গল সাফারির প্রতি পর্যটকদের একটা বড় আকর্ষণ থাকে। তবে কি সেই জঙ্গল খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন পর্যটকরা? একেবারে শেষ সময় তাঁদের বেড়ানোর পরিকল্পনায় কি কিছু বদল হতে পারে?

এদিকে পুজোর সময় বহু মানুষ উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যান। পুজোর সময় উত্তরবঙ্গগামী অধিকাংশ ট্রেনেই ওয়েটিং লিস্ট। বহু মানুষ উত্তরবঙ্গে আসবেন পুজোর সময়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাহাড়েই ঘুরতে যেতে চাইছেন পর্যটকরা। তবে পুজোর মুখোমুখিও যদি ডুয়ার্স বিমুখ হয়ে যান পর্যটকরা তবে লাটাগুড়ি, মূর্তি সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন পর্যটক সমৃদ্ধ এলাকায় ভিড় সেভাবে হবে না। এটা ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছে দুশ্চিন্তার বিষয়। তবে পুজোর সময় পাহাড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে সেক্ষেত্রে পর্যটকরা ডুয়ার্সমুখী হবেন। আশা বলতে এটাই।