সঞ্জয় রায়। আরজি কর কাণ্ডে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে তিনি কীভাবে পুলিশ ব্যারাকে থাকতেন? কাদের হাত ছিল তার মাথার উপর? তবে এবার সিবিআইয়ের নজরে এক এএসআই। পুলিশের ফোর্থ ব্যাটালিয়নের ব্যারাকে এই অনুপ দত্তের সঙ্গে থাকত সঞ্জয়। এমনকী সিবিআই ইতিমধ্যেই সঞ্জয়ের ফোন ডিটেলস খতিয়ে দেখেছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ঘটনার পরেই এই অনুপকেই ফোন করেছিল সঞ্জয়। কিন্তু কেন? এত বড় ঘটনার পরে ঠিক কীসের ভিত্তিতে অনুপের কথা মনে পড়ল সঞ্জয়ের?
মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে আসেন অনুপ। কিন্তু সংবাদমাধ্যম তাকে প্রশ্ন করতেই ছুটতে শুরু করেন সেই পুলিশ আধিকারিক। সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেছিলেন সঞ্জয়ের সঙ্গে কতদিনের চেনা। এই প্রশ্ন শুনেই ছুটতে শুরু করেন সঞ্জয়।
এদিকে সূত্রের খবর, সঞ্জয় সেই রাতে ঘটনার পরে ফোন করেছিলেন অনুপকে। এমনকী ঘটনার পরে সঞ্জয় পুলিশ ব্যারাকেও চলে যান। কিন্তু এত বড় ঘটনার পরে সঞ্জয় পুলিশ ব্যারাকে চলে গেল , কেউ কোনও বাধা দিল না , এটা কী করে সম্ভব? তবে কি অনুপ প্রশয় দিল সঞ্জয়কে? কেন সঞ্জয়কে প্রশয় দিত অনুপ?
এদিকে পুলিশের প্রশয় ছাড়া দিনের পর দিন ধরে সঞ্জয়ের পুলিশ ব্যারাকে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু কেন তাকে আস্কারা দেওয়া হত?
এদিকে এদিন ক্যামেরা দেখেই ছুটতে শুরু করেন অনুপ। জলে ভেজা রাস্তার উপর দিয়ে দৌড় আর দৌড়।
এদিকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঞ্জয়ের মা সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেব হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায়।
আপনার ছেলের নাম?
সঞ্জয় রায়। এই রায়টার কথা শুনেই তো মানুষ অবাক হয়ে যাচ্ছে এরকম কেউ করতে পারে।
কীসে কাজ করত আপনার ছেলে?
সবাই তো জেনে গিয়েছে। আসলে কী জানেন ছোট থাকলে শাসন করা যায় । ওর বাবা যদি বেঁচে থাকত তবে তো কোনও ব্যাপারই ছিল না। মা তো সবটা বলতে পারে না।
কখন আসত, কখন যেত?
ঠিক সময়ে যেত, ঠিক সময়ে আসত। কিন্তু এমন যে হল, তদন্ত করুক। আমি তো কোনও রায়কে অসম্মান করিনি। আজ স্বামী চলে গিয়ে আমায় বলতে হচ্ছে। আমি স্বামীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এরপর হাতজোড় করেন সঞ্জয়ের মা।
ছেলের জন্য আপনার কি লজ্জা লাগছে?
লজ্জা বলে নয়, দুঃখ লাগছে। ভালো ছেলে যদি খারাপ হয়ে যায় তবে কী বলব বলুন। তবে মায়ের কেমন লাগে…এটা তো মেয়ে নয়।…