RG Kar Postmortem Report Expert Analysis: একজনই দোষী? এমনই কি বলা হয়েছে আরজি কর কাণ্ডের ময়নাতদন্তে রিপোর্টে?

আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিভিন্ন তৃণমূলপন্থী সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এক্স প্ল্যাটফর্মে দাবি করছেন, চিকিৎসক খুনে একজনই দাবি। এমনই নাকি বলা হয়েছে বা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। তবে ‘এই সময়’তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এমন কোনও কিছুই ময়নাতদন্তে উল্লেখ করা হয়নি। এমনকী ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্তকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে লেখা, নির্যাতিতার শরীরে এত আঘাতের চিহ্ন থাকলে একাধিক ব্যক্তি ঘটনার সঙ্গে জড়ি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের আবহে জোড়া ফুল শিবিরে চিড় আরও চওড়া? মমতার পদক্ষেপে জল্পনা)

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের সাথে জড়াবেন না দুর্গাপুজোকে, আবেদন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের

আরও পড়ুন: বিস্ফোরক শ্মশানের ম্যানেজার, আরজি কর কাণ্ডে শেষকৃত্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

উল্লেখ্য, নির্যাতিতা চিকিৎসকের চূড়ান্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর শরীরের কোনও হারই ভাঙেনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে ২৫ জায়গায় ক্ষত ছিল। তার মধ্য ১৬টি ‘এক্সটার্নাল’, ৯টি ‘ইনটার্নাল’। রিপোর্ট অনুযায়ী, মাথা, গলা, হাত, যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত ছিল নিহত চিকিৎসকের। প্রকাশ্যে আসা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতার ওপরে যৌন হেনস্থা হয়েছে, তা স্পষ্ট। যৌনাঙ্গে জোর করে যৌনাঙ্গে ‘পেনিট্রেশন’ করা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। এদিকে যৌনাঙ্গে সাদা ঘন তরল পদার্থ মিলেছে। এদিকে নির্যাতিতার নাক, ডান থুতনি, বাঁহাত, কাঁধে গভীর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। এদিকে তাঁর ফুসফুসে রক্তক্ষরণ হয়েছিল বলে উল্লেখ আছে রিপোর্টে। এদিকে নির্যাতিতার শরীরের বহু জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল বলে বলা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ‘… হয়ত ময়নাতদন্তই হত না’, আরজি কর কাণ্ডে বড় দাবি চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর)

আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নেওয়ার আগে…’, মমতার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ নির্যাতিতার মায়ের

এদিকে এত গভীর ক্ষত থাকলেও নির্যাতিতা চিকিৎসকের শরীরের কোনও হার ভেঙেছে বলে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ নেই বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এই পিএম রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিহতের শরীর ও গোপনাঙ্গে সব আঘাতই ছিল মৃত্যুর আগে। ভিসেরা, রক্ত ও অন্যান্য সংগৃহীত নমুনা বিশ্লেষণের জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গের ওজন ১৫১ গ্রাম ছিল। উল্লেখ্য, এর আগে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, চিকিৎসকের যৌনাঙ্গে নাকি ১৫১ গ্রাম তরল পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠল আরও মারাত্মক অভিযোগ, ১০ দিন পর FIR পুলিশে

এদিকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শ্বাসরুদ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। রিপোর্ট বলে দিচ্ছে, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে আঘাত করা হয়েছে। শুধু গলা টিপে ধরাই নয়, মুখ‌ও চেপে ধরার প্রমাণও মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। ময়নাতদন্তের যা রিপোর্ট তাতে মৃত্যুর আগে অসচেতন অবস্থায় ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলছে। এছাড়া, নির্যাতিতার সারা দেহে একাধিক নখের আঁচড়, কামড়ের চিহ্নও পাওয়া যায়।