ছাত্র আন্দোলনে হতাহত শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও দোয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শাহীন কলেজের ছাত্র শহীদ শাফিক উদ্দিন আহম্মেদ আহনাফ স্মরণে ‘শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও দোয়া’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের শাহীন হলে এ দোয়া ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের আয়োজন করা হয়।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শাহীন কলেজের ছাত্র শহীদ শাফিক উদ্দিন আহম্মেদ আহনাফ স্মরণে “শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও দোয়া” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারের এয়ার অধিনায়ক ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল মো. শরীফ উদ্দীন সরকার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ কলেজের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আহনাফ। একই দিনে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ইকরামুল হক সাজিদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় এবং পরবর্তীতে ঢাকা সিএমএইচ-এ ১৪ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদতবরণ করেন।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে শহীদ আহনাফ ও সাজিদকে অকুতোভয় বীর হিসেবে উল্লেখ করে কলেজ অধ্যক্ষ গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কায়সুল হাসান বলেন, ভবিষ্যতে তাদের এই আত্মত্যাগ সকল শিক্ষার্থীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার প্রেরণা জোগাবে। অনুষ্ঠানে শহীদ আহনাফের মা তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আহনাফ সবসময় চাইতো আবু সাইদ ও মুগ্ধের মতো দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে। শহীদ আহনাফের মা আরও বলেন, আজ এখানে ওর বন্ধুরা আছে কিন্তু আহনাফ নেই। আমার ছেলের জন্য আমার যেমন গর্ব হচ্ছে তেমনি কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে।

প্রধান অতিথি শহীদ আহনাফের স্মরণে কলেজ প্রাঙ্গণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনসহ আহনাফের মৃত্যু দিবসকে “আহনাফ দিবস” হিসেবে কলেজে উদযাপনের ঘোষণা দেন। এছাড়াও আহনাফের ছোট ভাইয়ের বিএএফ শাহীন কলেজে বিনা বেতনে পড়াশুনার সকল দায়িত্ব গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে শহীদ আহনাফ ও শহীদ সাজিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। শেষে শহীদ পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়াও গত ১৬ আগস্ট বিএএফ শাহীন কলেজের অধ্যক্ষ ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্রদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।