সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে মদের আসর, দেখেও চুপ পুলিশ, ধরা পড়ে অভিযুক্ত বললেন…

খাস কলকাতায় হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে আকণ্ঠ মাতাল এক ব্যক্তির হাতে এক PGT চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও কি চোখ খোলেনি রাজ্য সরকারের? খুলে থাকলে কী ভাবে এখনও পুরুল্যা দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে চলছে মদের আসর। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের শৌচাগারে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় হাতে নাতে ধরা পড়েছে মদ খাওয়ার ছবি। যে শৌচাগার ব্যবহার করেন মহিলারাও।

আরও পড়ুন – ফের রক্তে ভিজল তিলোত্তমার মাটি, সাতসকালে আনন্দপুরে উদ্ধার মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ

পড়তে থাকুন – আরজি করে খুনের পরে সঞ্জয়ের ফোন এক পুলিশকে? বারাকে গিয়ে ঘুম, সিবিআইয়ের নজরে এএসআই, প্রশ্ন শুনেই ছুট!

 

পুরুল্যা মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডের পাশেই রয়েছে বেসরকারি সংস্থার তৈরি করা শৌচাগার। দীর্ঘদিন ধরে শৌচাগারটি পরিচালনা করে সেই সংস্থাই। মঙ্গলবার রাতে শৌচাগারের ভিতরে উঁকি দিয়ে দেখা যায় সেখানে বসেছে বাংলা মদের আসর। রয়েছেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী নারায়ণ প্রামাণিক ও আরও এক যুবক।

ক্যামেরা দেখেই অস্বস্তিতে পড়েন তাঁরা। হাসপাতালের ভিতরে মদ খাওয়ার স্বপক্ষে যুক্তি দিতে থাকেন তাঁরা। বলেন, শৌচাগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাই খাচ্ছি। রোজ খাই না, কখনও কখনও। হাত দিয়ে দেখিয়ে বলেন, আজ এত টুকু খেয়েছি।

অথচ হাসপাতালের ভিতরেই রয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। সেখানে ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন থাকেন পুলিশকর্মীরা। রোগীর পরিজনদের দাবি, পুলিশ সব কিছু দেখেও দেখে না।

আরও পড়ুন – ‘‌পশ্চিমবঙ্গের সরকার এখন জনগণের বিশ্বাস হারিয়েছে’‌, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল

হাসপাতালের ওই শৌচাগার ব্যবহার করেন পুরুষ – মহিলা সবাই। প্রশ্ন উঠছে, শৌচাগারের কর্মীরা মত্ত অবস্থায় থাকলে সেখানে মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়? সরকারি কি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঘটনা ঘটার আপেক্ষায় থাকে? নইলে চোখের সামনে এসব ঘটনা দেখেও কেন পদক্ষেপ করে না পুলিশ? না কি যারা এসব করে তাদের মাথার ওপর অদৃশ্য হাত রয়েছে? যার ফলে তাদের গায়ে হাত দিতে সাহস পায় না পুলিশ।