রাজ্যপালের চিঠি প্রত্যাখ্যান করল মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়, গোপন কথা গোপনই থেকে গেল

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সুতরাং বাংলার সরকার বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে। পুলিশের কৃতিত্ব বলতে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করার ঘটনা। এই আবহে এবার আজ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘‌কনফিডেনশিয়াল লেটার’‌ পাঠান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় প্রত্যাখ্যান করে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।

আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে যখন চর্চা তঙ্গে উঠেছে তখন সিবিআইয়ের দুয়ারে বারবার হাজির হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁকে আজও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই আবহে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের চারজন চিকিৎসক পড়ুয়াকেও শিয়ালদা আদালতে নিয়ে যায় সিবিআই। তাঁদেরও পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছে। আদালত সেটারও অনুমতি দিয়েছে। তার মধ্যেই রাজ্যপালের এই চিঠি নবান্ন থেকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর পেয়েছে পিটিআই। নির্যাতিতার বাড়িতে দেখা করে ফেরার পথে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সাংবাদিকদের বলেছিলেন গোপন চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠাবেন আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে। কিন্তু সংবাদ সংস্থার দাবি, ‘‌গত রাতে কনফিডেনশিয়াল লেটার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে পাঠানো হয় ম্যাসেঞ্জার দিয়ে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় তা গ্রহণ করতে প্রত্যাখ্যান করে।’‌ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ অপরাধের আগের দিন তরুণী চিকিৎসকের উপর নজর রাখে সঞ্জয়, জেরায় কবুল নানা কথা!‌

তবে আজকে নিয়ে টানা সপ্তম দিন সন্দীপ ঘোষ হাজিরা দিলেন সিবিআই দফতরে। এখন সন্দীপ ঘোষ স্বাস্থ্য ভবনের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে রয়েছেন। গতকাল নির্যাতিতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছিলেন, ‘‌আমি দিল্লি থেকে সোজা এখানে এসেছি নির্যাতিতার অভিভাবকের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাঁদের আবেগ বুঝতে। তাঁরা আমাকে বেশকিছু কথা বলেছেন যা আমি গোপন রাখছি এখন। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমি আজ চিঠি লিখব মুখ্যমন্ত্রীকে। আর বন্ধ খামে তা পাঠাব। এই বিষয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে পরে কথা বলব।’‌

ইতিমধ্যেই সিবিআই সন্দীপ ঘোষ এবং চার জুনিয়র ডাক্তারদের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা নিয়ে আবেদন জানায় সিবিআই। আজ আবার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এই ঘটনার এখন তদন্ত করছে সিবিআই। তার মধ্যেই গোপন চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে নয়াদিল্লি থেকে ঘুরে আসার পর। নয়াদিল্লিতে থাকাকালীন রাজ্যপাল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন। তারপর চিঠি পাঠাতে গেলেন কেন?‌ কী লেখা ছিল চিঠিতে?‌ সংবাদসংস্থাকে জানায়নি রাজভবন।