BJP’s Swastha Bhawan Abhijan: একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে স্বাস্থ্য ভবনের দোরগোড়ায় বিজেপি, পথেই আটক শুভেন্দুory

আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে স্বাস্থ্যভবন অভিযানে একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেন বিজেপি কর্মীরা। একদিকে একজোট বিজেপি নেতৃত্ব তার ওপর শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি বাধা দেওয়া যাবে না বলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, দুয়ের বলে বলীয়ান হয়ে হাডকো মোড় থেকে স্বাস্থ্যভবন পৌঁছতে বিজেপি নেতাদের লাগল প্রায়২ ঘণ্টা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পথে আটক করেছে পুলিশ। অন্যরা স্বাস্থ্য ভবন থেকে ২০০ মিটার দূরে শেষ ব্যারিকেডে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন।

আরও পড়ুন – ‘আরজি করের ইন্টার্নদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের কাছে’

পড়তে থাকুন – ‘উনি যত তাড়াতাড়ি পারেন গদি ছাড়ুন, বাংলার মানুষকে রেহাই দিন’

 

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় হাডকো মোড় থেকে বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সমস্ত কর্মী এসে না পৌঁছনোয় শেষ পর্যন্ত কর্মসূচি শুরু হয় বেলা আড়াইটেয়। পিএনবি হয়ে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে এগোতে থাকে বিজেপি কর্মীদের মিছিল। মিছিল ইন্দিরা ভবনের সামনে পৌঁছলে শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। কিন্তু বিজেপির বাকি নেতা কর্মীদের আটকাতে পারেনি তারা। এর পর করুণাময়ী হয়ে সেক্টর ফাইভের দিকে একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ ও RAFকর্মীরা মাঝে কয়েকজন বিজেপি নেতাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু লাভ হয়নি। বেলা ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ স্বাস্থ্যভবন থেকে ২০০ মিটার দূরে পৌঁছে যায় বিজেপির মিছিল। সেখানে ব্যারিকেড করে তাদের আটকায় পুলিশ। সেখানে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলা মোর্চার নেত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলেন তাঁরা।

এদিনের মিছিলে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির তাবড় নেতা। ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, রূপা গঙ্গোপার্ধ্যায়, অর্চনা মজুমদার, অর্জুন সিং প্রমুখ। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে, দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।

আরও পড়ুন – ঘরে – বাইরে চাপের মুখে পড়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হিসাবে সন্দীপ ঘোষের নিয়োগ বাতিল করল রাজ্য সরকার

পুলিশ আটক করার পর প্রিজন ভ্যানে বসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমাকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলল। রাজ্য সরকার মানুষের প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা এই ধর্ষকদের মুখ্যমন্ত্রী, খুনিদের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।’