Supreme Court on RG Kar Murder Case: ‘৩০ বছরে এমন দেখিনি…’, আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় হতবাক সুপ্রিম কোর্ট

আজ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিন ছিল। সেখানেই ফের একবার রাজ্য সরকার এবং পুলিশ ভর্ৎসনার শিকার হল। বিচারপতি জে পার্দিওয়ালা আজ মন্তব্য কলেন, ‘রাজ্য যে পদ্ধতি অনুসরণ করেছে তেমনটা আমি আমার ৩০ বছরের কর্মজীবনে দেখিনি… প্রথম কথা, এটা কি সত্য যে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ডায়েরি রেকর্ড করা হয়েছিল? দ্বিতীয়, এই নন-মেডিক্যাল সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট কে? তাঁর আচরণও খুব সন্দেহজনক, কেন তিনি এমন আচরণ করলেন?’

আজ সুপ্রিম কোর্টে কী কী হল:

আজ দিনের শুরুতেই সিবিআই তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সুপ্রিম কোর্টকে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সেই স্ট্যাটাস রিপোর্টটি পড়েন নীরবে।

এরপর প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘অভিযুক্তর মেডিক্যাল রিপোর্ট কোথায়?’ জবাবে রাজ্যের তরফের আইনজীবী পিল সিব্বল বলেন, ‘কেস ডায়েরির অংশ সেটা। সেখানেই আছে রিপোর্ট।’

এরপরই সলিসিটর জেনারেল সিবিআই-এর তরফ থেকে বলে, ‘এই ধরনের যে কোনও রিপোর্ট আছে, সেটাই আমরা জানতাম না। আমরা ঘটনার পাঁচদিন পরে যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছাই, তখন সব কিছু বদল করা হয়ে গিয়েছে।’ জবাবে সিব্বল দাবি করেন, ‘কিছু বদল করা হয়নি। সব কিছুর ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছ।’ এরপর সলিসিটর জেনারেল পালটা বলেন, ‘এই মামলায় সবথেকে হতবাক করে দেওয়া বিষয় হল, মৃতদেহ দাহ করার পরে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এফআইআর করা হয়। এর আগে মৃত চিকিৎসকের সহকর্মী এবং সিনিয়ররা গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফির দাবি জানিয়েছিলেন। তারা নিশ্চয় মনে করেছিলেন যে কিছু একটা লুকোনো হবে।’ এরপর আরজি করের প্রাক্তন সুপার আখতার আলি যে সব দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট অবগত করেন সলিসির জেনারেল।

এদিকে শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকার জানায়, আরজি করের চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত হয়েছিল সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে।

বিচারপতি পার্দিওয়ালা বলেন, ‘এটা তো খুবই আশ্চর্যজনক, ময়নাতদন্তের আগে ইউডি রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেল!’

এরপর সিব্বল পিছনে ঘুরে শলা পরার্শ করলেন রাজ্যের প্রতিনিধির সঙ্গে। সেই সময় বিচারপতি ফের বললেন, ‘ভেবেচিন্তে সঠিক মন্তব্য করতে বলুন, আলটপকা কিছু যেন না বলা হয়।’ পরে বিচারপতি ফের বলেন, ‘এরপরে একজন দায়িত্ববান পুলিশ অফিসারকে সঙ্গে রাখবেন।’

এরপর সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, ‘ময়নাতদন্তের পরও কি পুলিশ জানত না যে এটা অস্বাভাবিক মৃত্যু? তাহলে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে কীভাবে এফআইআর রুজু করা হয়?’

এরপর রাজ্য জানায়, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ডায়েরি সকাল ১০টা ১০ মিনিটেই হয়েছিল।

এরপর ফের সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, ‘যদি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ডায়েরি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে হয়ে থাকে, তাহলে ক্রাইম সিন রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে কেন সিল করা হল?’

বিচারপতি ডজে পার্দিওয়ালা বলেন, ‘আপনার রাজ্যে যে পদ্ধতি অনুসরণ করেছে তেমনটা আমি আমার ৩০ বছরের কর্মজীবনে দেখিনি… প্রথম কথা, এটা কি সত্য যে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ডায়েরি রেকর্ড করা হয়েছিল? দ্বিতীয়, এই নন-মেডিক্যাল সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট কে? তাঁর আচরণও খুব সন্দেহজনক, কেন তিনি এমন আচরণ করলেন?’