US President Election Update: হিন্দু প্রার্থনায় মুখোরিত ‘কমলার মঞ্চ’, সংস্কৃত শ্লোক পাঠ ডেমোক্র্যাট কনভেনশনে

আমেকিরায় ডেমোক্র্যাটদের ন্যাশনাল কনভেনশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানেই কনভেনশনের তৃতীয় দিনের সূচনা হল সংস্কৃত স্লোকের মাধ্যমে। হিন্দুদের প্রার্থনায় মুখোকরিত হয় শিকাগোর ইউনাইটেড সেন্টার। জানা গিয়েছে, হিন্দু পুরোহিত রাকেশ ভট্ট এই স্লোক পাঠ করেন ডেমোক্র্যাটদের মঞ্চে। ‘বসুদেব কুটুম্বকম’ মন্ত্র উচ্চারিত হয় কমলা হ্যারিসের মঞ্চে। এদিন রাকেশ সংস্কৃত শ্লোক পাঠ করে তার ইংরেজি মর্মার্থও বুঝিয়ে দেন ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের। কনভেনশনের তৃতীয় দিনে কমলার হয়ে কথা বলার কথা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের। এদিরে কমলার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী টিম ওয়ালজেরও আজ ভাষণ দেওয়ার কথা।

এদিকে এই ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনেই কমলা হ্যারিসকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্যে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা। কমলা হ্যারিস মার্কিন ইতিহাসে একটি ‘নতুন অধ্যায়ের’ সূচনা করবেন বলে দাবি করেছিলেন বাইডেন। এদিকে রিপাবলিকান প্রার্থীকে নিয়ে ওবামার স্পষ্ট বার্তা, ‘ট্রাম্প বিপজ্জনক।’ এদিকে বাইডেনের প্রশংসা করতেও শোনা যায় ওবামার গলায়। তিনি বলেন, ‘মহাবিপদের মুহূর্তে আমেরিকার গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছিলেন বাইডেন।’

ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশে ওবামা বার্তা দেন, ‘যদি আমরা সবাই আগামী ৭৭ দিন আমাদের কাজ করি, তাহলে আমরা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখব।’ হ্যারিসের কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে ওবামা বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে তিনি বড় বড় লড়াই করেছেন। বিভিন্ন কেলেঙ্কারির কোটি কোটি ডলার সাধারণ মানুষের জন্য ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। বাড়ি বন্ধক রাখা নিয়ে যখন সংকট দেখা দিয়েছিল, তখন তিনি আমার প্রশাসনকে বলে বাড়ির মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।’ ওবামার কথায়, ‘আমাদের এমন নেতাকে নির্বাচিত করা উচিত, যিনি আমেরিকাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। একসঙ্গে আমরা যাতে আরও নিরাপদে থাকতে পারি। যাতে ন্যায়ের ভিত্তিতে চলতে পারি। যাতে সকলের সমান অধিকার ও স্বাধীনতা বজায় থাকে। এই ভিত্তির ওপরই যেন দেশকে গড়ে তুলতে পারি।’ এরপর কমলাকে নিয়ে ওবামা স্লোগান তোলেন, ‘ইয়েস, শি ক্যান’ (হ্যাঁ, তিনি পারবেন)। সেই স্লোগান প্রতিধ্বনিত হয় গোটা সভায়।

এদিকে আজ কার্যত নিজের ব্যাটন কমলার হাতে তুলে দিলেন জো বাইডেন। সেই বিদায়ী ভাষণে জো বাইডেনকে নিয়েও আবেগে ভাসেন ডেমোক্র্যাটরা। স্লোগান ওঠে – ‘উই লাভ ইউ জো’। নিজের ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশের সেবা করার সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে সম্মানের। দেশকে ভালোবেসে এতদিন এই দায়িত্ব আমি পালন করেছি। এবং জীবনের সেরাটা দিয়েছি আমেরিকাকে।’ এদিকে তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর চাপ দেওয়ায় আমি ক্ষুব্ধ বলে যে দাবি করা হয়েছিল তা পুরোপুরি মিথ্যে।’ এরপর তাঁকে কেঁদে ফেলতে দেখা যায়। তবে পরে তিনি বলেন, ‘কঠিন সময় শেষ হয়েছে, এখন ভালো সময়। গণতন্ত্রকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। আমরা আমেরিকার আত্মাকে রক্ষা করার জন্য লড়ছি।’ বাইডেনের উদ্দেশে কমলা বলেন, ‘জো, আপনার ঐতিহাসিক নেতৃত্বের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ।’