কোটির নীচে কথাই বলছেন না! অলিম্পিক্সের পর নীরেজ-মনু-ভিনেশের পা পড়ছে না মাটিতে…

মোদ্দা কথা

    জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৬ অগাস্ট, ২০২৪। রাত ১১টার কিছু পরের ঘটনা। যা আজীবন ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের হৃদয়ে থেকে যাবে। সেদিন প্য়ারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024)  প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে কুস্তির ফাইনালে উঠে ইতিহাস লিখেছিলেন প্রাক্তন কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat)। কুস্তির ৫০ কেজি বিভাগের সেমিফাইনালে ভিনেশ সেদিন কিউবার গুজমান লোপেজকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। ফাইনালের সকালে যখন ভিনেশের ওজন মাপা হয়, তখন দেখা যায় তাঁর ১০০ গ্রাম বেশি ওজন রয়েছে ভিনেশের। সেই কারণে তারকা কুস্তিগীরকে ফাইনালে বাতিল ঘোষণা করা হয়! এই খবর মেনে নিতে পারেননি কেউই। এমনকী এরপর বিচার চেয়ে ভিনেশ কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট ওরফে সিএএসের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভিনেশের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। ভিনেশ পদক না পেলেও তাঁর বাজারদর কিন্তু কমল না, উল্টে বাড়ল বহুগুণ! অলিম্পিক্সের বাকি দুই পদকজয়ী নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra) ও মনু ভাকেরও (Manu Bhaker) এনডোর্সমেন্ট ফি বাড়িয়ে নিলেন অনেকটাই। জেনে নিন এখন কে কত টাকা চার্জ করছেন এনডোর্সমেন্টের কাজের জন্য়।

    আরও পড়ুন: ‘রিস্তা পাক্কা হুয়া’, সোনার টুকরো জামাই পেলেন মনুর মা! নীরজের সঙ্গে সে কী গল্প…

    প্যারিসে অলিম্পিক্স  শেষ। চলল  ২৬ জুলাই থেকে ১১ অগস্ট পর্যন্ত। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ থেকে ভারতের প্রাপ্তি হাফ ডজন পদক। যার মধ্য়ে রয়েছে নীরজ চোপড়ার রুপো ও মনু ভাকেরের ব্রোঞ্জ। টোকিয়োতে সোনা জেতার পর নীরজ প্য়ারিসে পেলেন রুপো। নর্ম্যান প্রিচার্ড, সুশীল কুমার, পিভি সিন্ধুর সঙ্গে নীরজ-মনু মিলে গিয়েছেন। জ্য়াভলিন থ্রোয়ার ও শ্য়ুটার, দু’জনেই একাধিক অলিম্পিক্স পদক জয়ের ইতিহাস লিখেছেন। ২০২১ সালের ৭ অগস্ট, ২০২৪ সালের ৯ অগস্ট, টোকিয়ো টু প্য়ারিস মাঝে ঠিক ৩ বছর ২ দিন। ফের এক ‘অগস্ট বিপ্লব’ নীরজের। তবে এবার আর সোনা নয়, ৮৯.৪৫ মিটার দূরে জ্য়াভলিন ছুড়ে নীরজকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রুপোতেই। আর নীরজকে সোনা খোয়াতে হয়েছে তাঁর বন্ধুপ্রতিম পাকিস্তানি প্রতিদ্বন্দ্বী আরশাদ নাদিমের কাছে। ৯২.৭ মিটার ছুড়ে ও অলিম্পিক্স রেকর্ড করে আরশাদ সোনাটা কেড়ে নিলেন নীরজের থেকে। পরপর অলিম্পিক্সে সোনা-রুপো পাওয়া মুখের কথা নয়। প্রথম ভারতীয় হিসেবে এক অলিম্পিক্সে জোড়া পদক পেয়েছে মনু। পিভি সিন্ধুর পর দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা হিসেবে জোড়া অলিম্পিক্স পদক জিতলেন তিনি। স্বাধীন ভারতে এই নজির আর কোনও ক্রীড়াবিদের নেই। ১৯০০ সালে নর্ম্যান প্রিচার্ড অ্যাথলেটিক্সে ২টি রুপো জিতেছিলেন। তাঁর ইভেন্ট ছিল ২০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ২০০ মিটার হার্ডল। মনুর জোড়া পদকই বন্দুক চালিয়ে। 

    ভিনেশ অলিম্পিক্সের আগে এনডোর্সমেন্ট ফি নিতেন ওই ২৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এখন ভিনেশ ৭৫ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা নিচ্ছেন একটি ব্র্য়ান্ড এনডোর্স করতে। নীরজের ব্র্য়ান্ড ভ্য়ালু বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। ৩৩০ কোটি টাকা তা স্পর্শ করছে। ২১টি ক্য়াটেগরিতে ২৪টি ভিন্ন ব্র্যান্ড এনডোর্স করেন নীরজ। অতীতে একটি ব্র্য়ান্ড এনডোর্স করতে নীরজ বার্ষিক ৩ কোটি টাকা নিতেন। তা এখন বেড়ে দাঁড়াল ৪ থেকে ৪.৫ কোটি টাকা। এবার আসা যাক মনুর কথায়। তিনিও ভিনেশের মতোই অলিম্পিক্সের আগে এনডোর্সমেন্ট ফি নিতেন ওই ২৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। অলিম্পিক্সের পর তাঁর ব্র্য়ান্ড ভ্য়ালু বেড়েছে ছ’গুণ। সম্প্রতি তিনি একটি বহুজাতিক কোলার ব্র্যান্ডের সঙ্গে ১.৫ কোটি টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
     
     আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে নামছেন নীরজ, মধ্যরাতে বর্শামঙ্গলের অপেক্ষা…কখন কোথায় দেখবেন?

     

    (দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)