আরজি করে CCTV ক্যামেরা লাগানোর নামে ১৪ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ, কিন্তু…

হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর টাকাও সরিয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ উঠল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ১৪ লক্ষ টাকা দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত ক্যামেরা লাগাননি সন্দীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন – ‘আরজি করের ইন্টার্নদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের কাছে’

পড়তে থাকুন – ‘উনি যত তাড়াতাড়ি পারেন গদি ছাড়ুন, বাংলার মানুষকে রেহাই দিন’

 

আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর প্রকাশ্যে এসেছে হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরার অপ্রতুলতার বিষয়টি। এর পর সমস্ত মেডিক্যাল কলেজকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তারই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে সিসিটিভি লাগানো নিয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। আইনজীবী করুণা নন্দী জানিয়েছেন, হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর জন্য ১৪ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাননি তিনি। হাসপাতালে আরও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সুবিধা হত। এদিনের সওয়ালে হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

আরও পড়ুন – ঘরে – বাইরে চাপের মুখে পড়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হিসাবে সন্দীপ ঘোষের নিয়োগ বাতিল করল রাজ্য সরকার

আরজি কর হাসপাতালে একাধিক দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন নিহতের বাবা ও মা। এছাড়া হাসপাতাল থেকে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ পাচার এমনকী, মৃতদেহ পাচারের অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে পাশ করানোর অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। একই অভিযোগে সরব হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন।