এমনও হয়? কুকুরে কামড়ানোর পর অদ্ভুত আচরণ মধ্যপ্রদেশের যুবকের, চিন্তায় চিকিৎসকরা

কুকুরে কামড়ানোর পর যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হয়, সে ক্ষেত্রে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। কয়েক মাস আগে এক শিশুর এমন জলাতঙ্ক রোগের কথা জানা গিয়েছিল। কিন্তু এবার জলাতঙ্ক নয়, কুকুরে কামড়ানোর কয়েকদিন পর অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে মধ্যপ্রদেশের সোনু নামের এক ব্যক্তি।

মধ্যপ্রদেশের সাগর নামের একটি এলাকায় সোনু নামে পরিচিত এক যুবককে কামড়ে দেয় কুকুর। স্থানীয় সবজি বাজারের ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করে ওই ব্যক্তি। ১০ থেকে ১২ দিন আগে একটি কুকুর কামড়ে দেয় ওই ব্যক্তিকে। তারপর থেকেই হঠাৎ করেই পথচারীদের কামড়াতে শুরু করেন সোনু।

সোনুর এই ব্যবহারে বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ব্যক্তি যে শুধু পথচারীদের কামড়ে দিচ্ছেন তা নয়, কাঁচা মাংস খেতে শুরু করেছেন তিনি। বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চিকিৎসা এবং জলাতঙ্কের টিকা প্রদান সহ সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সোনুর আচরণের কোনও উন্নতি হয়নি।

(আরও পড়ুন: ফুটপাত ভাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হকারদের, মাঠে নামল কলকাতা পৌরসভা)

এই প্রসঙ্গে ওই এলাকার এক স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রশিদ বলেন, ‘হঠাৎ করেই সোনু কাঁচা মাংস খেতে শুরু করে, যা দেখে হতবাক হয়ে যান সকলেই। এছাড়া পথচারীদের ওপর আক্রমনাত্মকে ব্যবহার করে সোনু, যার ফলে ওই রাস্তা দিয়ে হাঁটতেও ভয় পাচ্ছেন পথচারীরা।’

স্থানীয় সবজি বিক্রেতা নরেন্দ্র ঠাকুর বলেন, ‘পেঁয়াজ কেনার সময় সোনু তাঁকে কামড়ে দেন। সোনুর কামড়ে দেওয়ার পর তিনি নিজের চিকিৎসা এবং ইনজেকশনের ব্যবস্থা করেন, যাতে কোনও সমস্যা না হয়।’

এই প্রসঙ্গে বুন্দেলখন্ড মেডিকেল কলেজের ডক্টর সুমিত রাওয়াত বলেন, ‘জলাতঙ্ক কখনও ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয় না। কুকুর কামড়ে দেওয়ার ফলে এমন আচরণ সচরাচর দেখা যায় না। ১০ থেকে ১২ দিন পেরিয়ে গেলে জলাতঙ্কের উপসর্গ গুরুতর আকার ধারণ করে এবং ওই ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।’

(আরও পড়ুন: খাবারে অজান্তেই খেয়ে ফেলছেন প্লাস্টিক! খাদ্য সুরক্ষা দিতে নতুন উদ্যোগ FSSAI-এর)

তবে সোনুর আচরণের পেছনে জলাতঙ্ক নাকি অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন, নাকি এর পেছনে কোনও মানসিক ব্যাধি লুকিয়ে রয়েছে, সেটাই এখন দেখার। তবে সাধারণ জলাতঙ্ক রোগে এমন কোনও উপসর্গ হয় না বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।