Plastic in Food: খাবারে অজান্তেই খেয়ে ফেলছেন প্লাস্টিক! খাদ্য সুরক্ষা দিতে নতুন উদ্যোগ FSSAI-এর

খাদ্য দূষণ হচ্ছে। খাবারে লুকিয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক জনসাধারণের স্বাস্থ্য নিয়ে খেলছে। তাই এবার খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। খাদ্য নিয়ন্ত্রক এফএসএসএআই খাদ্য পণ্যে ভেজাল শনাক্ত করার কাজে হাত লাগিয়েছে। খাদ্য পণ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকলে, তা সহজেই খুঁজে পাওয়ার উপায় জানতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।

আরও পড়ুন: (Instant cold coffee: ইনস্ট্যান্ট কফিতে মন মজেছে আপনার? নিজের কতটা ক্ষতি করছেন সেটাও জানুন)

মার্চে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে

একটি সরকারি বিবৃতি অনুসারে, এই প্রকল্পটি চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই শুরু করা হয়েছিল। নতুন করে খাদ্যে দূষণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে মাইক্রো-এন্ড ন্যানো-প্লাস্টিকের প্রভাব, এই ক্ষুদ্র অথচ ক্ষতিকারক প্লাস্টিক খুঁজে বের করার পদ্ধতি জেনে নেওয়া, এই সমস্ত গবেষণা করাই হল এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এই প্রকল্পের অধীনে, ভারতে মাইক্রো এবং ন্যানো প্লাস্টিক উপস্থিতির মাত্রাও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: (Interview cancelled for short skirt: শর্ট স্কার্ট পরার জন্য ইন্টারভিউ থেকে বহিষ্কার করা হল এক মহিলাকে, ভাইরাল ভিডিয়ো)

সিএসআইআর-ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টক্সিকোলজিক্যাল রিসার্চ (লখনউ), আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ টেকনোলজি (কোচি), এবং বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (পিলানি) সহ সারা দেশের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির সহযোগিতায় এই গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে। একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, চিনি এবং নুনের মতো সাধারণ খাবারে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি তুলে ধরেছিল। এরপর থেকেই এই গবেষণায় আরও জোরে দিয়েছে এফএসএসএআই।

আরও পড়ুন: (Mpox vaccine by Serum Institute: সিরাম ইনস্টিটিউট Mpox ভ্যাকসিন তৈরি করার চেষ্টা করছে, আশ্বাস পুনাওয়ালার)

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক হিসাবে, এফএসএসএআই ভারতীয় ভোক্তাদের নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেহেতু বিশ্বব্যাপী গবেষণা বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীতে মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি তুলে ধরেছে, তাই ভারতের জন্য নির্দিষ্ট নির্ভরযোগ্য ডেটা তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর ভারতের এই শনাক্তকরণ প্রকল্পটিই ভারতীয় খাদ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বুঝতে সাহায্য করবে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপও করতে সাহায্য করবে। ভারতীয় গবেষণাকে এই পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলবে৷