RG Kar rape and murder: শনিবার বেগুনি পতাকা উত্তোলন করুন, ডাক আরজি কর প্রতিবাদের মুখ রিমঝিমের

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গর্জে উঠেছিল বাংলা সহ গোটা দেশ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে এখনও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে জেলায় জেলায়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সুবিচারের দাবিতে এখনও চলছে বিক্ষোভ মিছিল। এই নৃশংস ঘটনার পরেই গত ১৪ অগস্ট মেয়েদের রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন প্রতিবাদী মুখ রিমঝিম সিনহা। তাতে ব্যাপক সাড়া মিলেছিল। এবার সেই প্রতিবাদ আন্দোলনকে জিইয়ে রাখার জন্য আবারও এক কর্মসূচি পালনের ডাক দিলেন তিনি। এবার বেগুনি পতাকা উত্তোলন করে টর্চ জ্বালিয়ে প্রতিবাদের ডাক দিলেন। আগামী ২৫ অগস্ট এভাবে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার জন্য বঙ্গবাসীর কাছে সোশ্যাল মাধ্যমে আবেদন জানালেন রিমঝিম।

আরও পড়ুন: RG কর নিয়ে পড়ুয়াদের প্রতিবাদ রোখার চেষ্টা? স্কুলে-স্কুলে নির্দেশ, ‘হীরক রানি……’

আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা বঙ্গে। জেলায় জেলায় প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন আমজনতা। তারপরেই আরজি করের প্রতিবাদ জানাতে ১৪ অগস্ট মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিতে প্রতিবাদ আরও তীব্র হয়েছিল। ওইদিন কলকাতা থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় যেভাবে গর্জন শোনা যাচ্ছিল তাতে ঘুম উড়েছিল শাসক দলের। গর্জে উঠেছিলেন রাজ্যের মহিলা থেকে শুরু সাধারণ মানুষ। মূলত বিচার এবং নিরাপত্তা দাবিদেই ছিল সেই কর্মসূচি। কিন্তু, তারপরে বেরিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। এখনও বিচার মেলেনি। সেই সংক্রান্ত মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। তাই ফের এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন রিমঝিম। 

তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্টে বলেন, ‘১২ দিন হয়ে যাওয়ার পরেও আরজি করের ঘটনায় এখনও সুবিচার মেলেনি। তাই আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আরজিকরের ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদেরকে সকলকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাই আমরা এই রবিবার বাড়ির ছাদে, পাড়ায় এবং ক্লাবে বেগুনি পতাকা উত্তোলন করব। সেই সঙ্গে মোবাইলের টর্চ জ্বালাবো। তাতে বোঝা যাবে কত মানুষ আন্দোলনের সঙ্গে আছেন, সমর্থন করছেন।’

 তিনি বলেন, ‘এই বেগুনি পতাকা হল নারী আন্দোলনের পতাকা। সেই পতাকায় লিখতে হবে মেয়েরা রাতের দখল নাও, আরজিকরের বিচার চাই।’ রাত ১০টা থেকে এই কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন রিমঝিম। তাঁর বার্তা এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল জানানো, যে আন্দোলন এখনও চলছে এবং চলবে। যতদিন না বিচার পাওয়া যাবে ততদিন এই আন্দোলন চলবে।