তালেবানের কূটনীতিককে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে গ্রহণ করেছে ইউএই

আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তালেবান নিযুক্ত কূটনীতিককে গ্রহণ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দেশটির একজন কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবধান কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হলো। পাশাপাশি উন্নয়ন ও পুনর্গঠন প্রকল্প গ্রহণ করে আফগানদের সহায়তা করার সংকল্পও দৃঢ় হলো।

তবে, দেশটি তালেবানকে আফগানিস্তানের বৈধ সরকারের স্বীকৃতি দিয়েছে কিনা, সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে একমাত্র চীন তালেবান মনোনীত ব্যক্তিকে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেব গ্রহণ করেছিল। এছাড়া পাকিস্তানসহ বেশকয়েকটি দেশে তালেবান সদস্যরা কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তবে তালেবান প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, মাওলাওয়ি বদরুদ্দিন হাক্কানি ইউএই-এর রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। দ্রুতই দেশটির আমির আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে নিয়োগ দেবেন।

২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালেবানরা আফগানিস্তানের ১ কোটি ৪০ লাখ নারী ও মেয়েদের ওপর কঠোর রক্ষণশীল আইন প্রয়োগ করছে। মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক কাজে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, উন্মুক্ত পার্কে হাঁটা ও জিম বা বিউটি পার্লারে যাওয়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া কঠোর পোশাকবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালেবানরা নারীদের প্রকাশ্যে চাবুক মারা এবং পাথর ছুঁড়ে হত্যার আইনও ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। নারী অধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশীরভাগ পশ্চিমাদেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।