করোনার সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্যাব শেয়ারিং ফিচার ফেরাল Ola

ওলা চড়ে কম খরচেই ঘুরতে পারবেন। করোনার সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিষেবা আবার চালু করেছে ওলা। আপাতত ব্যাঙ্গালোর থেকে সারা দেশে শুরু হবে এই পরিষেবাটি। এর অধীনে ওলা, ক্যাব ব্যবহারকারীদের নিজেদের রাইড শেয়ার করার সুযোগ করে দেবে। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি ক্যাব ভাড়া করে উঠলে, তিনি অন্যজনের সঙ্গেও ওই ভাড়া শেয়ার করে গন্তব্যে পৌঁছোতে পারবেন। এতে খরচও অনেক কমে যাবে।

আরও পড়ুন: (Maruti Suzuki Fronx: জাপানের বাজারে লঞ্চ হবে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ গাড়ি, রপ্তানি শুরু মারুতি সুজুকির)

আসলে, ২০২০ সালে ভয়াবহভাবে বাড়তে থাকা করোনার প্রাদুর্ভাবে কোম্পানি এই ক্যাব পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। এখন সেই অপরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় আবারও গ্রাহক সুবিধার্থে ক্যাব শেয়ার পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোম্পানির সাম্প্রতিক ‘সংকল্প’ কমিউনিটি ইভেন্টে, সিইও ভবিশ আগরওয়াল এই কার পুলিং ফিচারটি ফিরিয়ে নিয়ে আসার ঘোষণা করেছেন।

আরও পড়ুন: (Fake Loan Apps Identification: অনলাইনে লোন নিতে গিয়ে জড়াচ্ছেন প্রতারণার জালে! বাঁচাতে এবার নতুন বুদ্ধি আঁটল RBI)

ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্গালোরে চালু হয়েছে এই পরিষেবা। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আগরওয়াল অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আমরা আরও কম খরচে রাইডের অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য ওলা শেয়ার ফিরিয়ে আনছি। এবার আরও ভালো এআই চালিত অ্যালগরিদম সহ এই ফিচারটি চালু করা হয়েছে। আগরওয়াল নিশ্চিত করেছেন যে পরিষেবাটি শীঘ্রই অন্যান্য শহরে চালু করা হবে।

ওলা কয়েনস লয়ালটি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে

ওলা শেয়ার পরিষেবা পুনরায় চালু করা ছাড়াও, আগরওয়াল ওলা কয়েন নামে আরও একটি প্রোগ্রাম চালু করেছেন। ওলা ক্যাব ব্যবহারকারীরা তাঁদের প্রতিটি লেনদেনের সঙ্গে, কয়েন পাবেন। পরে সেই কয়েনগুলো রিডিম করতেও পারবেন।

আরও পড়ুন: (IT কোম্পানির CEO-রা ফ্রেশারদের থেকে কত গুণ বেশি মাইনে পান, জানলে ভিরমি খাবেন!)

প্রসঙ্গত, এই মাসের শুরুতে, ওলা ইলেকট্রিক মোবিলিটি, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য ভারতের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে। ওলা আইপিওর মাধ্যমে ৫,৫০০ কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করেছে। সংস্থাটি বলেছে যে এটি নিজের ব্যবসা বাড়ানো জন্য আরও রিসার্চ করা এবং পণ্যের ডেভেলপমেন্ট করার খাতে ১,৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।

অধিকন্তু, ওলা তার সেল ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টের ক্ষমতা পাঁচ জিডব্লিউইচ থেকে ছয় দশমিক চার জিডব্লিউইচ-এ প্রসারিত করতে চায়। এর জন্য ১২২৭.৬ কোটি টাকা খরচ করবে।