ছুটি হয়ে যাওয়ার পরেও কাজের কথা বলা, ছুটির দিনেও ওয়ার্ক ফ্রম হোম, এই সমস্ত প্রাইভেট কোম্পানিতে চলতেই থাকে। কিন্তু এবার আর না! ছুটির পর কোনও ভাবেই বসের ফোন অ্যাটেন্ড করতে আর বাধ্য থাকবেন না কর্মচারীরা। আগামী সোমবার থেকে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে চলেছে এই নতুন নিয়ম।
অস্ট্রেলিয়ান কর্মচারীদের স্বাস্থ্যকর কর্মজীবনের ভারসাম্য নিশ্চিত করার জন্য এই নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের বাইরে কাজ সম্পর্কিত কোনওরকম যোগাযোগ উপেক্ষা করতে পারবে কর্মচারীরা। আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৬ অগস্ট থেকে কার্যকর হতে চলেছে এই নতুন আইন।
(আরও পড়ুন: এই পানশালায় খাবারের পাশাপশি মিলবে থাপ্পড়, লাথি, ঘুষি!)
অস্ট্রেলিয়ার আগে ফ্রান্স এবং জার্মানি সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এই আইন কার্যকর করা হয়েছিল।অস্ট্রেলিয়ায় এই আইন পাস হয়েছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে এই আইনটি পাস হলেও আইনটি কার্যকর হতে হতে সময় লেগে যায় আরও বেশ কয়েকটি মাস।
এই আইন সম্পর্কে কর্মচারী অ্যাডভোকেসি গ্রুপ থেকে ইতিবাচক অভ্যর্থনা জানানো হলেও আইনটি সংসদে পাস হওয়ার সময় নিয়োগকর্তা কোম্পানিগুলির সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সমালোচকরা বলেছিলেন, এই আইনটি খুব দ্রুত প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এই আইনে উল্লেখযোগ্য কিছু ত্রুটি আছে।
তবে এত কিছুর পরেও অবশেষে এই আইনটি আগামী সোমবার থেকে কার্যকর করা হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কর্মচারীরা কোনওভাবেই মালিকের ফোন বা মেসেজ অ্যাটেন্ড করতে বাধ্য থাকবেন না। তবে আইন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীর প্রত্যাখ্যান অযৌক্তিক কিনা সেই বিষয়েও কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
(আরও পড়ুন:দু’সপ্তাহে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত ৪ গণ্ডার শাবক, নতুন সমস্যা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে)
কোন কোন বিষয়ে কর্মচারী নির্দিষ্ট সময়ের পরেও কর্মকর্তার ফোন বা মেসেজ অ্যাটেন্ড করতে বাধ্য থাকবেন:
১) যোগাযোগের কারণ যদি জরুরী ভিত্তিক হয়
২) অতিরিক্ত কাজের জন্য যদি অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হয়।
৩) কর্মচারীর দায়িত্বের স্তর এবং ভূমিকার প্রকৃতি কেমন তা নির্ধারিত করবে তিনি ফোন তুলবেন কিনা।
৪) আগে থেকে যদি বলা থাকে, তাহলে সময়ের বাইরেও ফোন করলে তুলতে হবে।