NHAI rule changed: টোল না দিয়ে হাইওয়েতে যাতায়াতের এই নিয়মেও ইতি

লাইনের শেষ হবে না। যতই লাইন পড়ুক, যতই সময় লাগুক, টোল না দিলে গাড়ি ছাড়ার কোনও প্রশ্নই উঠবে না এবার থেকে। সম্প্রতি, এক্সপ্রেসওয়ে এবং জাতীয় হাইওয়েতে ভ্রমণকারী যাত্রীদের জন্য এমনই একটি পুরনো নিয়ম বাতিল করা হয়েছে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির (এনএইচএআই) তরফে। এর দরুণ রীতিমত মাথায় হাত গাড়ি চালকদের।

আরও পড়ুন: (Unified Pension Scheme: নয়া পেনশন প্রকল্প চালু করল কেন্দ্র! কী সুবিধা? বেসিক স্যালারির ৫০% টাকা মিলবেই)

কোন নিয়ম বাতিল করা হয়েছে

এতদিন টোল প্লাজায় ১০০ মিটারের হলুদ লাইনের নিয়ম ছিল। এই নিয়ম অনুযায়ী, টোল প্লাজা পার হতে যদি কোনও গাড়ি ১০ সেকেন্ডের বেশি সময় নেয় তাহলে পেছনের গাড়িটিকে টোল দিতে হবে না। একইভাবে, টোল প্লাজায় গাড়ির লাইন যদি ১০০ মিটারের বেশি দূর পর্যন্ত চলে যায়, তবে পিছনের যানবাহনগুলিকে আর টোলের আওতায় আসতে হত না। ২০২১ সালের মে মাসে নিয়মটি আনা হয়েছিল। বলা বাহুল্য, ফাস্টট্যাগ যুক্ত যানবাহনের জন্য এই নিয়ম তৈরি করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: (Manipur: মণিপুরে কীভাবে শান্তি ফেরানো যায়? মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন সেনা প্রধান)

তবে, কিন্তু তিক্ত বাস্তবতা হল এই নিয়ম চালু হওয়ার পর টোলে দীর্ঘ অপেক্ষার হাত থেকে যানবাহনরা রেহাই পাবে বলে ধারণা করা হলেও, বাস্তবে কখনোই সেভাবে ব্যবহার করা হয়নি। যখনই কোনও চালক এই নিয়মের সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তখনই সিস্টেমের ত্রুটির কথা বলে তাঁকে টোল চার্জ করা হয়েছিল। কর্মচারীরা প্রায়ই সামনের গাড়ির ত্রুটি উল্লেখ করে ছাড় দিতে অস্বীকার করতেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে, ড্রাইভারদের এনএইচএআই-এর টোল-ফ্রি নম্বরে অভিযোগ করার সুবিধাও দেওয়া হয়েছিল, তবে এর প্রভাব খুব কমই দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: (Delegated payments through UPI: অন্যরাও আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে UPI করতে পারবেন, RBI বানাচ্ছে নতুন নিয়ম)

আর, এই নিয়মটা প্রতিটি টোল প্লাজার জন্য ছিল না। এই নিয়মটি বিশেষত সেই সমস্ত টোল প্লাজার জন্য যেখানে ফাস্টট্যাগ সুবিধা পাওয়া যায় এবং যেগুলি নতুন প্রযুক্তিতে চলছিল। আর এখন এই নিয়মেই ইতি টানা হয়েছে। লাইন যত লম্বাই হোক না কেন, কোনও ছাড় থাকবে না। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার থেকে যাত্রীদের টোল প্লাজায় অপেক্ষা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এছাড়াও, ফাস্টট্যাগ-এর ব্যালেন্স চেক করা এবং রিচার্জ করাও জরুরি, কারণ ব্যালেন্স না থাকলে চালককে দ্বিগুণ টোল দিতে হতে পারে।