মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান। তার আগেই বোমা ফাটিয়েছেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর সমাজমাধ্যমে একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন। লেখা হয়েছে, ছাত্র সমাজের নামের পেছনে সবাই বিজেপির পোষ্য গুন্ডা জানুন।
তিনি লিখেছেন, ”ছাত্র সমাজে’এর নামের পিছনে সবাই বিজেপির পোষ্য গুন্ডা। জানুন।
‘আপনারাই দেখে নিন কারা নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। যারা নিজেরাই ধর্ষণ কেসের আসামি তারাই ধর্ষণের প্রতিবাদ করার জন্য নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে।
২৭ আগস্ট যে অরাজনৈতিক নাম করে নবান্ন অভিযান ডাক দিয়েছে যে তিনজন ব্যক্তি কলকাতা প্রেসক্লাবে নিজেদেরকে অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে তাদের মধ্যে একজনের রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত ইতিহাস তুলে ধরছি। এই ব্যক্তি শুভঙ্কর হালদার ২০০৮ সাল থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে জড়িত ২০১১ সালের গঠিত কলেজ কমিটিতে একজন কার্যকারী সদস্য ছিল এবং দীর্ঘ দুই বছর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কলেজ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য পরবর্তীতে ২০১৪ সালে একটি ধর্ষণ এবং কিডন্যাপিং এর মামলায় জড়িয়ে যাওয়ায় তাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করায় মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করে তারও পরবর্তী সময় এবিভিপি-র নবদ্বীপ শাখার সভাপতি পদে নিযুক্ত হয়। এরপর কলেজের বিভিন্ন মারামারি অশান্তিতে আরও বিভিন্ন কেসে ফেঁসে যায়। কলেজে কলেজ ভাঙচুর, ভারপ্রাপ্ত আইসির গায়ে হাত তোলা, এরকম বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে থাকে তো এই অরাজনৈতিক নাম করে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বিজেপির আশ্রয়ে আশ্রিত একজন সমাজ বিরোধী ধর্ষণকারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নিজেকে মুখ হিসেবে তুলে ধরে নিজের ইমেজ ঠিক করতে।
মোদ্দা কথা পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ বলে কোনো সংগঠন নেই, এসব এভিবিপির পিছনের দরজার নেমপ্লেট মাত্র। আসলে এরা একটি ঘৃণ্য ঘটনা ও দু:খজনক মৃত্যু কে সামনে রেখে রাজনৈতিক রুটি সেঁকতে এসেছে।’ লিখেছেন তৃণাঙ্কুর।
তবে তৃণাঙ্কুরের এই পোস্টের জবাব দিয়েছেন শুভঙ্কর হালদার। যাকে নিশানা করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব। আনন্দবাজার অনলাইনে মুখ খুলেছেন শুভঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তারা মিথ্যা কথা ছড়িয়ে আমাকে এবং আমাদের সঙ্গীদের ভয় পাওয়াতে চাইছে। আমি চ্য়ালেঞ্জ করছি অভিযোগের সপক্ষে কোনও প্রমাণ ওরা দেখাতে পারবে না। তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতেন বলে যে দাবি করা হয়েছে তা তিনি মানেননি। তবে তিনি এটা মেনেছেন যে এবিভিপি করতেন একটা সময়। তবে এখন শুধুই অরাজনৈতিক।