রাজ্যে একটাও গাড়ি চলতে দেব না, দিনক্ষণ জানিয়ে ধরনা মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শ্যামবাজারে চলছে বিজেপির ধরনা। সেই ধরনা মঞ্চ থেকেই এই ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির ডাক দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ২৮ অগাস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন – সঞ্জয় যেন ধনঞ্জয় না হয়, আরজি করের অভিযুক্তের প্রতি সমবেদনার সুর মমতার মন্ত্রীর গলায়

পড়তে থাকুন – ‘চার বার মদ্যপানের পর ২ বার যৌনপল্লি ঘুরে এসে কারও দেহে খুন করার শক্তি থাকে?’

 

এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ২৮ অগাস্ট থেকে আমরা আরজি করের নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে ধর্মতলায় ধরনায় বসব। পুলিশ অনুমতি না দিলে আদালতে যাব। ওই দিন রাজ্য মহিলা কমিশনে তালা লাগানোর কর্মসূচি পালন করবে মহিলা মোর্চা।

২৯ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করবেন বিজেপি কর্মীরা। একটাই দাবি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে সন্ধে পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত ব্লকে ধরনায় বসবেন বিজেপি কর্মীরা। ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সমস্ত মণ্ডলে পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজ্যে একটাও গাড়ি চলতে দেব না।

রবিবার কলকাতার শ্যামবাজারে শেষ হল বিজেপির ৫ দিনের ধরনা কর্মসূচি। কলকাতা পুলিশ অনুমতি না দেওয়া কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে ধরনায় বসেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। ধরনা মঞ্চ থেকে আরজি করের নির্যাতিতার সুবিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবি ওঠে।

আরও পড়ুন – সরকারি স্কুলের প্রশ্নপত্রে লেখা ‘la ilaha illallah’, উত্তেজনা কোচবিহারে

বিজেপির দাবি, আরজি কর কাণ্ডে এখনও তথ্য গোপন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। এর পিছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পরিকল্পনা রয়েছে। এদের ফোন বাজেয়াপ্ত করে সিবিআইয়ের তদন্ত করা উচিত বলে দাবি তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।