মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান। অনেকে বলছেন বিরাট অশান্তি হতে পারে। অনেকে আবার ভাবছেন সুপার ফ্লপ হবে। তবে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদই কাল আছড়ে পড়তে পারে নবান্নমুখী রাস্তায়। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ জানিয়ে দিয়েছে, রাজনৈতিক দলের পতাকা ছাড়াই এই কর্মসূচিতে আসুন। কিন্তু সেই মিছিলে কি অংশ নেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা?
এই প্রশ্নটাও উঠতে শুরু করেছে। তবে আরজি করে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে, যে সংগঠন এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
এদিকে এই নবান্ন অভিযানকে বন্ধ করতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না সরকার। হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু আদালতে সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযান বেআইনি। যারা এই কর্মসূচির আয়োজন করছেন তারা যদি অন্য দিন ও সংরক্ষিত এলাকা বাদ দিয়ে অন্যত্র এই কর্মসূচির আয়োজন করেন তবে অন্য জায়গায় অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু নবান্ন অভিযানের কোনও অনুমতি নেই।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের সঙ্গেই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। তারাও কাল নবান্ন অভিযানে নামছে।
এদিকে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা বিজেপির রাজ্য দফতরে থাকবে। আমাদের আইনি সেল পুরোপুরি থাকবেন। কোথাও যদি আইনি কোনও সহায়তা লাগে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে সহায়তা করব। এমনকী উত্তরবঙ্গ থেকে কিছু লোকজনকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে ও লাঠিসোটা নিয়ে তারা হামলা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে বিজেপির তরফে। শাসকদলের তরফে ছাত্রদলের এই কর্মসূচিকে বানচাল করতে এসব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সব মিলিয়ে নানা আশঙ্কার আর দোলাচলের মধ্য়েই এই নবান্ন অভিযান। তা কতটা সফল হবে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।
তবে উদ্যোক্তারা সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সাধারণ মানুষ এতে অংশ নেন। কোনও রাজনৈতিক নেতারা যাতে পতাকা নিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশ না নেন সেটা অনুরোধ করা হয়েছে।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছে, মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলা যাবে মিছিলে। উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান তোলা যাবে। এর বাইরে কোনও রাজনৈতিক স্লোগান তোলা যাবে না। তবে পুলিশ যদি কোথায় আটকায় তবে কী করবেন সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
তারা জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ আটকালেও কোথাও কোনও ভাঙচুর করবেন না। শান্তিপূর্ণভাবে এই নবান্ন অভিযানে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গেই নবান্নের কাছাকাছি চলে গেলেও যাতে কেউ নবান্নতে ঢুকে না পড়়েন সেব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে।