Viral video of two doctor: ‘No means no’ এই ভিডিয়োর মাধ্যমে সকলকে বিশেষ বার্তা দিলেন দুই চিকিৎসক

এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের আরজি করের ঘটনা নিয়ে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মানুষ নয়, উত্তাল সারা দেশের মানুষ। এটি শুধুমাত্র নারীদের লজ্জা নয়, এই ঘটনায় লজ্জিত হয়েছে গোটা দেশের পুরুষ সমাজ। পুরুষদের কীভাবে অন্যের সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হয়, সেটাই সম্প্রতি একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে দেখিয়েছেন দুই চিকিৎসক।

মনে আছে, ‘পিঙ্ক’ সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন বলেছিলেন, No means no? এখন তিলোত্তমার পথেঘাটে ঠিক একই কথা শোনা যাচ্ছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের অনেক সময় ইচ্ছে না থাকলেও অনেক কাজ করতে হয়। মেয়েদের মনের ইচ্ছা বুঝেও বুঝতে চায় না প্রভাবশালী পুরুষরা। পুরুষদের কীভাবে বুঝতে হবে মেয়েদের মনের কথা, সেটাই দেখানো হয়েছে এই ভিডিয়োয়।

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, দুজন মধ্য বয়স্ক পুরুষ বসে রয়েছেন পাশাপাশি। এক কাপ চায়ের মাধ্যমে গোটা ব্যাপারটি বুঝিয়েছেন তাঁরা। একজন ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে যখন চায়ের অফার করছেন, তখন অন্যজন তাতে সম্মতি জানাচ্ছেন। এর অর্থ হলো তিনি সরাসরি হ্যাঁ বলছেন।

(আরও পড়ুন: ফের নামছেন নীরজ, প্যারিসে রুপো ছাড়াও নজর কেড়েছিল ৫২ লাখের ঘড়ি!)

এরপরেই দেখানো হচ্ছে, চায়ের অফার করার সময় অপর ব্যক্তি বলছেন না এখন খাব না। তখন যিনি চায়ের অফার করছেন তিনি বলছেন, তুমি তো গতকাল হ্যাঁ বলেছিলে। আজ কেন না বলছ। যাকে অফার করা হচ্ছে, তিনি যেহেতু গতকাল চা খেয়েছেন বলে আজ চা খাবেন না বলছেন। সেখানেও কিন্তু ধরে নিতে হবে, ওই ব্যক্তি না বলছেন।

এরপর ফের দেখানো হচ্ছে চায়ের অফার করার পর অপর ব্যক্তি দোনোমনো করছেন, এর অর্থও হল ওই ব্যক্তি না বলছেন। মুখে কিছু বললেও, তিনি হ্যাঁ বললেন না। এই কথার অর্থ হল, তিনি না-ই বলছেন। এরপর দেখানো হচ্ছে, কালো পোশাক পরিহিত ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়েছেন, তাঁকে ডেকে চায়ের অফার করা হচ্ছে। তিনি কিন্তু উঠতে চাইছেন না। এর অর্থও হল, ওই ব্যক্তি চা খেতে চাইছেন না।

গোটা ঘটনাটি অন্যভাবে দেখানো হলেও, এই ভিডিয়োর মাধ্যমে সমস্ত পুরুষ জাতিকে বোঝানো হচ্ছে, যখন কেউ না বলবে, তখন তার অর্থ না-ই হয়। কোনওভাবেই হ্যাঁ হয় না। এই অসাধারণ কনসেপ্ট-এর ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন বহু মানুষ। বহু মানুষ এমন একটি ভিডিয়ো তৈরি করার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই দুই ডাক্তারকে।

(আরও পড়ুন: মল দিয়ে স্কিন কেয়ার করলেন এক মহিলা! ‘থেরাপি দরকার’, বললেন নেটিজেন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো দেখার পর কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘এইভাবে প্রত্যেক ছেলেকে শিক্ষা দেওয়া উচিত।’ কেউ আবার দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এটি পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের বোঝানো যায়। কিন্তু এটি যখন একজন বড় পুরুষকে বোঝাতে হয়, তখন তা সত্যি দুঃখের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।’ আবার একজন লিখেছেন, ‘ভীষণ নিখুঁত একটি ভিডিয়ো দেখলাম।’ একজন আবার লিখেছেন, ‘যতই আপনি শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করুন না কেন, কিছু মানুষ আছেন যারা কখনওই শিক্ষা গ্রহণ করতে চান না।’