সিবিআইয়ের ডাকে ফের CGOতে সন্দীপ, নিজাম প্যালেসে দেবাশিস সোম

আরজি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির তদন্তে এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। রবিবার তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সোমবার সকালে ফের বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন তিনি। ওদিকে এদিন ফের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক দেবাশিস সোম।

আরও পড়ুন – RG কর তদন্তে CBI-কে পথ দেখাচ্ছে পুলিশ, হাতে তুলে দিয়েছে ৫৩ ‘প্রমাণ’, ৯টি সঞ্জয়ের

পড়তে থাকুন – ‘আরজি করের নির্যাতিতার দেহ সৎকারের শ্মশান খরচ দিল কে? শ্মশানে কে করল সই?’

 

সোমবার সকালে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন সন্দীপবাবু। এই নিয়ে দশম দিন তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়লেন। গত ৯ দিন হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তাঁকে জেরা করা হলেও এদিন তাঁকে দুর্নীতি নিয়ে জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিনও সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি সন্দীপবাবু।

ওদিকে রবিবারের পর সোমবার সকালেও নিজাম প্যালেসে দেখা যায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক দেবাশিস সোমকে। রবিবার তাঁর কেষ্টপুরের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালায় সিবিআই। বিকেলে নিজের গাড়ি করে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তিনি। হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগ, এই দেবাশিস সোমই সন্দীপ ঘোষের প্রধান সহযোগী। সন্দীপের নির্দেশে দেবাশিসই হাসপাতালের শবাগারে যাবতীয় দুর্নীতি পরিচালনা করতেন। মৃতদেহের অঙ্গ পাচারেও যুক্ত তিনি।

আরও পড়ুন – ‘বহুত কুছ এভিডেন্স হ্যায়!’ হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই জানাল সিবিআই, তল্লাশি রাতেও

হাসপাতালের মর্গের প্রাক্তন করণিক তারক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মর্গে কোনও দেহ এলে তা সংরক্ষণের জন্য টাকা নিত সন্দীপ ঘোষ। যা বিনামূল্যে পাওয়ার কথা সাধারণ মানুষের। এছাড়া ময়নাতদন্তের পর দেহ সেলাই করা থেকে দেহ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মোটা টাকা দাবি করা হত। টাকা দিতে না চাইলে সেলাই না করা দেহ তুলে দেওয়া হত পরিজনদের হাতে।