থিমে আরজি কর কাণ্ড নেই তো? মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে দেখবে পুলিশ, ক্ষুব্ধ উদ্যোক্তারা

আরজি করে নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান করছে একের পর এক পুজো কমিটি। সেই প্রবণতা রুখতে এবার পুজো কমিটিগুলিকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। সঙ্গে পুজোয় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কোনও থিম বা ব্যানার পোস্টার মণ্ডপে লাগানো যাবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে তাদের দাবি। এই অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে একাধিক পুজো কমিটি। ওদিকে পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের দাবি, নবান্নের নির্দেশে এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।

আরও পড়ুন – কে খুন করেছে আরজি করের নির্যাতিতাকে? পলিগ্রাফ টেস্টে বিস্ফোরক দাবি সঞ্জয় রায়ের

পড়তে থাকুন – কালীমূর্তি ভাঙচুরে অভিযুক্তদের ১২টি বাড়ি জ্বালিয়ে দিল বিক্ষুদ্ধ জনতা

 

গত কয়েকদিনে রাজ্যে পুজো অনুদান ফেরানোর প্রবণতায় রাশ টানতে বিভিন্ন জেলায় পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। অভিযোগ সেখানে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বলে দেওয়া হয়েছে, পুজো ভাবনায় কোথাও আরজি কর মেডিক্যালের ঘটনার কোনও উল্লেখ যেন না থাকে। মণ্ডপে বা তার চারপাশে কোথাও আরজি কর মেডিক্যালের ঘটনার প্রতিবাদে কোনও পোস্টার ব্যানার লাগানো যাবে না। তাহলে পুলিশের অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হবে। এমনকী, কোন পুজোর কী থিম ভাবনা তা অনুমতি চাওয়ার সময় জমা দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। দরকারে পুলিশ আধিকারিকরা সেই থিম ভাবনা বদল করতে পারেন বলেও জানানো হয়েছে।

নিউ টাউনের আবাসনের পুজোগুলি সরকারি অনুদান পায় না। তাদের ওপরেও পুলিশ খবরদারি করছে বলে অভিযোগ। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, পুজোর কয়েক দিন আগে পুলিশের তরফে আধিকারিকরা থিম খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। থিম পছন্দ না হলে পুজো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলেও ঠারে ঠোরে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। পুলিশের এই নির্দেশ শিল্পীর সৃজনশীলতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন – অসমে প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দিল ধর্ষক, মালদায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

ওদিকে পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের দাবি, নবান্নের নির্দেশে চাকরি বাঁচাতে কার্যত এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এমনকী গত ১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিতে বিধাননগরের যে মহিলা পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর ভিডিয়ো পুলিশ কর্মীদের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ।