সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই আধিকারিকরা

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে গেল সিবিআই। দিল্লি থেকে আসা সিবিআইয়ের বিশেষ দল রবিবার জেলে গিয়ে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিয়েছিলেন। আগেই এই মামলায় সঞ্জয়সহ ৭ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করার অনুমতি দিয়েছে শিয়ালদা আদালত।

আরও পড়ুন – সঞ্জয় যেন ধনঞ্জয় না হয়, আরজি করের অভিযুক্তের প্রতি সমবেদনার সুর মমতার মন্ত্রীর গলায়

পড়তে থাকুন – ‘চার বার মদ্যপানের পর ২ বার যৌনপল্লি ঘুরে এসে কারও দেহে খুন করার শক্তি থাকে?’

 

গত শুক্রবার শিয়ালদা আদালতে হাজির করা হলে পলিগ্রাফ টেস্টে সম্মতি দেয় সঞ্জয়। এর পর তার ১৪ দিনের জেল হেজতের নির্দেশ দেয় আদালত। জেল হেফাজতের নির্দেশের পর সঞ্জয়ের ঠিকানা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ সেল। তার পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য শনিবার জেলে গিয়ে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। জমা দেন বেশ কিছু নথি।

সঞ্জয় ছাড়াও আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট করেছে সিবিআই। এছাড়া আরও ৪ চিকিৎসকও সঞ্জয়ের সহযোগী এক সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ টেস্ট হবে।

পলিগ্রাফ টেস্টে মানুষের শীরের একাধিক লক্ষণ খতিয়ে দেখে বোঝার চেষ্টা করা হয় সে সত্যি বলছে কি না। মিথ্যে বললে রক্তচাপ বৃদ্ধ, শ্বাসের হার বৃৃদ্ধি, ঘাম হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার মতো একাধিক লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো পরিমাপ করে বিশেষজ্ঞরা বোঝার চেষ্টা করেন বক্তা সত্যি বলছেন না মিথ্যা।

আরও পড়ুন – সরকারি স্কুলের প্রশ্নপত্রে লেখা ‘la ilaha illallah’, উত্তেজনা কোচবিহারে

তবে পলিগ্রাফ টেস্ট কোনও নির্ণায়ক পরীক্ষা নয়। মিথ্যে কথা বলেও এই পরীক্ষা পাশ করে গিয়েছেন এরকম নজিরও বহু রয়েছে। অর্থাৎ শেষ কথা বলবে তথ্য-প্রমাণ।