DGCA Fines Air India: যাত্রী নিরাপত্তায় গাফিলতি, ৯৯ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে এয়ার ইন্ডিয়াকে

ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) টাটা গ্রুপের এয়ারলাইন এয়ার ইন্ডিয়াকে ৯০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন। অযোগ্য ক্রু সদস্যদের নিয়ে ফ্লাইট ওড়ানোর অভিযোগে এভিয়েশন রেগুলেটরের কোপে পড়েছে টাটা গ্রুপের এয়ারলাইন। এরই পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়ার দুই ডিরেক্টরকেও যথাক্রমে ৬ লক্ষ টাকা এবং ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাইলটকে সতর্ক করেছে ডিজিসিএ, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।

আরও পড়ুন: (Janmashtami decoration: এইসব সামান্য জিনিস দিয়েই জন্মাষ্টমীতে সাজিয়ে ফেলুন ঘর, রইল কিছু আইডিয়া)

শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল না করার জন্য কোম্পানিকেও সতর্ক করেছে ডিজিসিএ, না হলে এয়ারলাইন কোম্পানির ঝামেলা আরও বাড়তে পারে। ডিজিসিএ একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, কোম্পানিটি ভুলবশত একজন প্রশিক্ষণার্থী পাইলটকে এমন একজন ক্যাপ্টেনের সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালানোর দায়িত্ব দিয়েছিল যাঁর প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল না। এটি যাত্রীদের নিরাপত্তার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ নেবেন এমন পাইলটদের সবসময় ট্রেনিং দেবেন এমন পাইলটের সঙ্গে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: (Fried eggplant: বর্ষায় খিচুড়ি-বেগুন ভাজা মাস্ট! এইভাবে ভাজলে বেগুন ঠান্ডা হলেও থাকবে মুচমুচে)

জরিমানার আগে ডিজিসিএ ফ্লাইট কমান্ডার এবং এয়ারলাইন কর্মকর্তাদের কাছে এমন কাণ্ডে কারণ জানতে চেয়ে, একটি নোটিশও পাঠিয়েছিল। কিন্তু ডিজিসিএ-র দাবি, তারা কেউই এভিয়েশন রেগুলেটরের কাছে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। এর পরে, ডিজিসিএ বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এয়ারলাইনকে জরিমানা করেছে।

আরও পড়ুন: (UTI prevention tips: অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতেই হয়? জানুন UTI আটকানোর কিছু টিপস)

আসল ঘটনাটি কী

ফ্লাইটে বসে যে পাইলট ট্রেনিং নেবেন, তিনি এবং তাঁর ট্রেনিং ক্যাপ্টেননের একসঙ্গে ৯ জুলাই, ২০২৪-এ মুম্বই থেকে রিয়াদ যাওয়ার কথা ছিল। রিয়াদে অবতরণের পর প্রশিক্ষণার্থীর ফর্মে সই করার জন্য ট্রেনিং ক্যাপ্টেনের প্রয়োজন ছিল। এরই মাঝে তিনি অধিনায়ক অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁর পরিবর্তে অন্য একজন ক্যাপ্টেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যাঁর ট্রেনিং দেওয়ার কথা ছিল না। উভয় পাইলট ফ্লাইটের সময় ভুলটি লক্ষ্য করেছিলেন, শিডিউলিং বিভাগের ভুল ছিল এটা। গরমিলের কারণে স্বাভাবিকভাবেই, নন-ট্রেনিং ক্যাপ্টেন ফর্মে স্বাক্ষর করতে পারেননি। কারণ তিনি ট্রেনিং ক্যাপ্টেন ছিলেন না, প্রশিক্ষণার্থী এটি জানতেন না। এরপর তাঁরা দুজনেই বিষয়টি বেস ম্যানেজারকে জানান। ক্রু ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের এই গুরুতর ভুলের খবর এভিয়েশন রেগুলেটরের কানে যায়। তারপরেই করা হয় পরবর্তী পদক্ষেপ।