Neuralink Patient: ব্রেনে চিপ বসিয়ে দ্বিতীয়বারও সফল মাস্ক! রোগী সুস্থ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই

সফলভাবে মানুষের মস্তিকে চিপ বসাতে পেরেছে নিউরালিংক। কোনও সমস্যা হয়নি। এটি এলন মাস্কের ব্রেন টেকনোলজি স্টার্টআপের দ্বিতীয় প্রয়াস। এর আগের বার অসফল হয়েছিল কোম্পানিটি। প্রকৃতপক্ষে, প্রথম পরীক্ষায়, রোগীর মধ্যে থ্রেড রিট্র্যাকশনের মতো সমস্যা দেখা গিয়েছিল। যার দরুণ চিন্তিত হয়ে পড়েছিল কোম্পানিটি। তবে সে অন্ধকার দিন শেষ। এদিন নিউরালিংক দাবি করেছে যে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানোর দ্বিতীয় পরীক্ষা কোনও সমস্যা ছাড়াই সফল হয়েছে।

আরও পড়ুন: (সবচেয়ে সস্তা 5G প্ল্যান আনল Jio, 200 টাকারও কম খরচে পাবেন এই বিশেষ সুবিধা)

পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের স্বাদ নিতে সাহায্য করে নিউরালিংক। ওই রোগীদের মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ ওয়্যারলেস চিপ তৈরি করে, যার সাহায্যে শারীরিকভাবে অক্ষম রোগীরা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হন। এমনই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রথম ট্রায়াল করা হয়েছিল, রোগী নোল্যান্ড আরবাঘ-এর উপর। নিউরালিংক জানুয়ারিতে তাঁর মস্তিষ্কে চিপ বসিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু সময়ের মধ্যেই থ্রেড রিট্র্যাকশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল।

আরও পড়ুন: (Warning For Jio Users: বড় স্ক্যামের মুখে জিও গ্রাহকরা, আগেভাগে সতর্ক করে বাঁচার টিপস দিল কোম্পানি)

থ্রেড রিট্র্যাকশন সমস্যায় কী অসুবিধা হয়

অস্ত্রোপচারের পরে, আরবাঘের মস্তিষ্কে উপস্থিত অনেক ছোট ফাইবারে সংকোচনের সমস্যা দেখা গিয়েছিল। এর ফলে মস্তিষ্কের সংকেত পরিমাপকারী ইলেক্ট্রোডের সংখ্যাও কমে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে বিরাট চাপে পড়েছিল নিউরালিংক। বলা হয়েছে, পশুদের উপর পরীক্ষা করার সময়ও থ্রেড রিট্র্যাকশনের সমস্যা দেখা গিয়েছিল।

এখন সংস্থাটি দাবি করেছে যে দ্বিতীয় পরীক্ষায় এই সমস্যা হয়নি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, নিউরালিংকের ডিজিটাল চিপ দিয়ে ইমপ্লান্ট করা প্রথম রোগী এখন ভিডিয়ো গেম খেলতে, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেও সক্ষম।

আরও পড়ুন: (বিক্রিতে WagonR-কে হারাল Tata Punch, কী এমন বিশেষত্ব এই গাড়ির)

নিউরালিংক হল একটি ব্রেন-চিপ স্টার্টআপ, যা ২০১৬ সালে চালু করেছিলেন ইলন মাস্ক। এই স্টার্টআপে, অস্ত্রোপচারের সাহায্যে একটি মুদ্রার আকারের ডিভাইস (চিপ) মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়। যার খুব পাতলা তারগুলো মস্তিষ্কে গিয়ে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস তৈরি করে। এই ডিস্কটি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ রেজিস্টার করবে এবং একটি সাধারণ ব্লুটুথ সংযোগের মাধ্যমে স্মার্টফোনের মতো একটি ডিভাইসে পাঠাবে।

এককথায় বলতে গেলে ডিভাইসটি মানব মস্তিষ্ক থেকে সংকেত ক্যাপচার করে যাবতীয় কাজ করে। এটি কম্পিউটারের পর্দায় কার্সার সরানোর মতো ক্রিয়াকলাপে, বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই চিপের সাহায্যে, এখন দ্বিতীয় রোগী অ্যালেক্স, নিজের ল্যাপটপে, কাউন্টার-স্ট্রাইক ২-এর মতো শুটার গেম খেলতেও সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছে মাস্কের নিউরালিংক।