Police mark Nabanna Abhijan ‘Culprits’: কমলা ওড়নার মহিলা, নীল-সাদা জামার লোক- ২১ ছবি পোস্ট করে ‘সন্ধান’ দিতে বলল পুলিশ

গোলাপি ওড়না জড়ানো এক মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। হাতে আধলা ইট নিয়ে তাক করে আছেন টি-শার্ট পরা এক যুবক। নীল টি-শার্ট পরা একজন ইট ছোড়ার মতো ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। হাতে ইট তুলে ধরে আছেন এক যুবক। জামাটা অর্ধেক খোলা আছে। অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করছেন নীল-সাদা টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি। কয়েকজন পুলিশকে মারতে উদ্যত হয়ে আসছেন। 

‘সন্ধান চাই’, পোস্ট কলকাতা পুলিশের

নবান্ন অভিযানের পরে কলকাতা পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই ২১টি ছবি প্রকাশ করা হল। সেইসঙ্গে পুলিশের তরফে আর্জি জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘সন্ধান চাই: নীচের ছবিতে যাঁদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’

‘কত স্যালারি দেবেন আমাদের?’ কটাক্ষ পুলিশকে

আর সেই আর্জি জানানোয় পুলিশকে কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। একজন বলেন, ‘ওহ ভাই!! আমরা খুঁজে নাকি পুলিশের কাছে নিয়ে যাব।’ একজন আবার বলেন, ‘আবার আমাদের টাস্ক দিচ্ছেন!’ এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘কত স্যালারি দেবেন আমাদের?’ একজন আবার বলেন, ‘আজ নবান্নে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুলিশের, তার এক ভাগও যদি বাংলার মা-বোনেরা পেতেন, তাহলে কোনও অভিযানের দরকার পড়ত না।’

আরও পড়ুন: WB Police on Nabanna Abhijan: বাংলার ছাত্ররা এই অসভ্যতামি করে না, ‘নিহিত স্বার্থে’ নবান্ন অভিযান, দাবি পুলিশের

পেট্রোল বোমাও উদ্ধার হয়েছে কলকাতায়, দাবি পুলিশের

তারইমধ্যে মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় দাবি করেন যে সকাল আটটা থেকে তিনি হাওড়া ব্রিজের কাছে হাজির ছিলেন। আন্দোলনকারীদের শান্তি বজায় রাখার জন্য বারবার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি আন্দোলনকারীরা। উলটে পুলিশকে লক্ষ্য করে মুহূর্মুহূ ইট ছোড়া করা হয়। সেখান থেকে পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন: Mohun Bagan fans win East Bengal heart: ‘আমাদের বোনের বিচার চাই, টিফোয় বজায় ইস্ট-মোহন ঐক্য, ‘বিশাল’ ম্যাচে আবেগঘন বার্তা

‘পুরো কলকাতার চিত্রটা একই ছিল’, দাবি পুলিশের

সেই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে আন্দোলনকারীদের পিছনে পুলিশ ধাওয়া করে বলে দাবি করেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল)। তিনি দাবি করেছেন, হাওড়া ব্রিজ থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত তো বটেই, পুরো কলকাতার চিত্রটা একই ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই বলপ্রয়োগ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ১০০-র বেশি মানুষকে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পুরুষ। কয়েকজন মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল)।

আরও পড়ুন: Debangshu on ‘MBA in History’: ‘বাংলায় বিটেক হলে আরও খুশি হতাম’, নবান্ন অভিযানের ‘মুখ’ ইতিহাসে ‘MBA’ করায় খোঁচা