ব্রিটিশ সরকার দেশব্যাপী ২৭৫টির স্থানে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৮৫ জন বৈধ কাগজপত্রবিহীন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সব মিলিয়ে ১৩৫টি কোম্পানি অনথিভুক্ত শ্রমিক নিয়োগের জন্য নোটিশ পেয়েছে। নতুন লেবার সরকার আমলে এটিই বৃহত্তম অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান।
আটককৃতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, সেটি উল্লেখ করেনি হোম অফিস।
স্বরাষ্ট্র সচিব ইয়েভেট কুপার গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন, প্রলোভন দেখিয়ে কর্মীদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসা সংঘবদ্ধ চক্রগুলোকে ধ্বংস করতে সরকার অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
এক বিবৃতিতে সরকার দাবি করেছে যে অনেক সময়, কাজের বৈধতাবিহীন শ্রমিকরা কাজের স্থানে অমানবেতর জীবন যাপন করছেন। কঠোর শ্রমের বিনিময়ে যুক্তরাজ্যে ন্যূনতম মজুরির চেয়ে অনেক কম অর্থ উপার্জন করছেন তারা।
সরকারের মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের আরও ক্র্যাকডাউন অব্যাহত থাকবে। অননুমোদিত শ্রমিকদের নিয়োগ করলে প্রথমবারের জন্য ৪৫ হাজার এবং পরবর্তীতে ৬০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হবে।
এই শ্রমিকদের একটি অর্থের জন্য ভয়ংকর পরিস্থিতিতে বসবাস ও কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
এ ব্যাপারে লন্ডনের চ্যান্সেরি সলিসিটরর্সের প্রিন্সিপাল ব্যারিস্টার মো. ইকবাল হোসেন বুধবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সাঁড়াশি অভিযানের কারনে দেশটিতে বসবাসরত বৈধ কাগজপত্রবিহীন বা কাজের অনুমতিবিহীন বাংলাদেশি ও তাদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্টা বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন করে বিভিন্ন ভিসায় মানুষ না এনে ব্রিটেনে যাদের কাজের বা বসবাসের বৈধ কাগজপত্র নেই তাদের যদি শর্ত সাপেক্ষেও বৈধতা দেওয়া হতো, তাহলে ব্রিটেনের অর্থনীতি লাভবান হতো এবং তাদের অর্জিত অর্থ থেকে ব্রিটেন বাড়তি রাজস্ব পেত।