‘হরিদাস পাল, উনি নিজেই অবৈধ শ্বেতহস্তী, উনি বনধকে অবৈধ বলার কে?’

বুধবার ভারতীয় জনতা পার্টির ডাকা বাংলা বনধকে অবৈধ ঘোষণা করে রাজ্য সরকারে তরফে সাংবাদিক বৈঠক করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, উনি নিজেই অবৈধ। উনি বনধকে অবৈধ বলার কে?

আরও পড়ুন – কে খুন করেছে আরজি করের নির্যাতিতাকে? পলিগ্রাফ টেস্টে বিস্ফোরক দাবি সঞ্জয় রায়ের

পড়তে থাকুন – কালীমূর্তি ভাঙচুরে অভিযুক্তদের ১২টি বাড়ি জ্বালিয়ে দিল বিক্ষুদ্ধ জনতা

 

এদিন শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, ‘কালকের বনধ ও আজকের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের কেমন কাঁপুনি ধরেছে আমরা টের পাচ্ছি। তারা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করাচ্ছেন। আর সরকারের কেউ নয়, হরিদাস পাল, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আরেক চাটুকার, বাংলা ও বাঙালির লজ্জা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমার সামনে অপমান করেছিলেন তিনি নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করছেন আজকের ঘটনা নিয়ে। রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা সিনে নেই। স্বরাষ্ট্রসচিবকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিজিপি রাজীব কুমার, এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা কারও দেখা নেই। একজন অবৈধ শ্বেতহস্তী, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, তাকে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করিয়ে আজকের বৃত্তান্ত জানাচ্ছে এই সরকার। এই সরকার একটা পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রিকতার চূড়ান্ত জায়গায় গিয়েছে।’

আরও পড়ুন – অসমে প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দিল ধর্ষক, মালদায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

আরেক কদম এগিয়ে শুভেন্দুবাবুর দাবি, ‘আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকা ছাড়া অবসরকালীন সমস্ত সুযোগ সুবিধা আটকে রেখেছে ভারত সরকার। উনি নিজেই বেআইনি। উনি বনধকে বেআইনি বলার কে?’