Meghalaya: বাংলাদেশের আওয়ামি লীগ নেতার দেহ উদ্ধার করল মেঘালয় পুলিশ, পালিয়ে আসছিলেন ভারতে

ডেভিড লৈতফ্লাং

মেঘালয় পুলিশ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কিছুটা দূরে এক পুরুষের দেহ উদ্ধার করেছে। পানের বরোজের ভেতর এই দেহটি ছিল। পূর্ব জয়ন্তী পাহাড়ের দোনা ভই এলাকা থেকে দেহটি মিলেছে। ভারত -বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় দেড় কিমি দূরে এটি অবস্থিত। এটা আসলে বাংলাদেশের এক পরিচিত রাজনৈতিক নেতার। তিনি আওয়ামি লীগ করতেন বলে খবর। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পরে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসার চেষ্টা করছিলেন। তাঁরই দেহ উদ্ধার হয়েছে মেঘালয় থেকে। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। কীভাবে তিনি ভারতে এলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

২৬ অগস্ট সন্ধ্যায় দেহটি মিলেছে। তার কাছ থেকে একটি বাংলাদেশের পাসপোর্ট মিলেছে। তার নাম ইশাক আলি খান পান্না। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির একজন উল্লেখযোগ্য মুখ বলে পরিচিত। 

পুলিশ সুপার গিরি প্রসাদ এম দেহ উদ্ধারের  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পান্না নামে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের ছাত্র লীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। পিরোজপুর জেলার আওয়ামি লীগের নেতা। জানিয়েছে পুলিশ। দেহটি হাসপাতালের মর্গে রেখে দেওয়া হয়। 

মনে করা হচ্ছে হাসিনা সরকারের পতনের পরে ওই নেতা পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সীমান্ত পার হওয়ার সময় তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তবে অপর মহলের মতে, সম্ভবত বিজিবি তাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। সেই সময় গুলি চালানো হতে পারে। 

এদিকে শিলেট জেলাতেও একটি দেহ মিলেছে বলে খবর। বাংলাদেশের দিকে দেহ মেলার ঘটনার জেরে বিএসএফ সরাসরি কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। 

এদিকে জনৈক সাদ্দামের বাড়ির কাছে এই দেহ মিলেছে বলে খবর। এদিকে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতিও প্রচুর টাকা নিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে খবর। তবে এদিকে সংশ্লিষ্ট মহল সাদ্দাম, পান্নার দেহ ও বিচারপতির সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা এই তিনের মধ্যে কোনও মিল রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে।