WB Government Employees: প্রথমে নবান্ন অভিযান, তারপর বনধ, নবান্নেই রাত কাটল অনেক সরকারি কর্মীর

গতকাল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর অভিযানের আবহে নবান্নকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছিল। সোমবার থেকেই ব্যারিকেড বসানো থেকে শুরু করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। রাস্তার সঙ্গে ঢালাই করা হয়েছিল ব্যারিকেড। এতকিছুর মাঝেও সোমবার রাতেই নবান্নের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারী নেতা ভাস্কর ঘোষ। এদিকে গতকালকের অভিযানের পর আজ আবার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। এই সবের মাঝে নবান্নের সরকারি কর্মীদের অফিসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর তাই অনেক সরকারি কর্মীই নাকি নবান্নেই রাত কাটিয়েছেন। (আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে ডিএ আন্দোলনকারীরাও, জারি সরকারি কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি)

আরও পড়ুন: ‘RG করের বোনটিকে উৎসর্গ…’, প্রতিবাদীদের ‘মন গলাতে’ বার্তা মমতার

উল্লেখ্য, গতকাল নবান্ন অভিযান ঘিড়ে গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হলেও বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনিক ভবনের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এর জেরে নবান্নর ভিতরে কর্মীদের মধ্যেও সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পরে অফিস থেকে ফেরার পথেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয় অনেক সরকারি কর্মীকে। তবে আজকে বনধ ডাকায় অনেকেই নবান্নেই থেকে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বনধের আবহে পরিবহণের কী হাল থাকবে, সেই বিষয়ে সংশয়ে থাকায় অনেক সরকারি কর্মীই রাত কাটান নবান্নে। প্রসঙ্গত, গতকাল দুপুর ৩টে নাগাদ হাওড়ার চ্যাটার্জি হাটের দিকে থেকে বেশ কয়েক জন আন্দোলনকারীকে নবান্নের উত্তর গেটের দিকে এগিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত তাদের নবান্নের গেটের ১০০ মিটার আগে আটকে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: আজ পথে নামছে আরজি কর, বনধে সায় আছে প্রতিবাদী চিকিৎসকদের?

এদিকে বাংলা বনধ ঘিরে আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি, অবরোধ জারি আছে। আজ বারাসতে চাপাডালি মোড়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা জোর করে দোকান বন্ধ করিয়ে দেয়। রাস্তায় বেরনো গাড়িগুলি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এদিকে উত্তর কলকাতায় টালা ব্রিজে বনধ সফল করতে অবরোধ বিজেপি কর্মীদের। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। মালদায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। জানা যায়, পুরাতন মালদার বুলবুলি মোড় এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে বিজেপি। সেই সময় বনধের বিরোধিতায় পালটা মিছিল করছিল তৃণমূল। দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে সেখানে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অপরদিকে সকাল সকাল শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের শাটার নামানোর চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তবে পুলিশি বাধায় পরে মেট্রো পরিষেবা চালু থাকে শ্যামবাজারে। তবে বিভিন্ন শাখায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত করতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। সোনারপুরে ট্রেন অবরোধ করতে গিয়ে আটক ১৫ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক। এদিকে সোনারপুর থানায় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় বিজেপি কর্মীদের। এদিকে লক্ষ্মীকান্তপুরে ওভারহেডে তারে কলাপাতা দিয়ে রেল চলাচল ব্যাহত করা হয়। রেল অবরোধ হয় কৃষ্ণনগর, বনগাঁ লাইনেও।