গোল্ডেন বুট জয়ী মিরাজুল ও সেরা গোলকিপার আসিফ যা বললেন

ফাইনালে জোড়া গোল করেছেন মিরাজুল ইসলাম। আরেকটি গোলে করেছেন সহায়তা। এতেই বাংলাদেশের ট্রফি জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। সব মিলিয়ে চার গোল করে সাফ অনূর্ধ ২০ চ্যাম্পিয়নশিপে মিরাজুল গোল্ডেন বুট জিতেছেন। আর সেমিফাইনালের পর আজ ফাইনালেও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে টুর্নামেন্ট সেরা গোলকিপারের ট্রফি নিয়ে উল্লাস করেছেন মোহাম্মদ আসিফ। 

ম্যাচশেষে গোল্ডেন বুট জয়ী মিরাজুল উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেছেন, ‘আল্লাহপাক সঙ্গে ছিল বলেই আমরা শিরোপা জিততে পেরেছি। ভারতের বিপক্ষে আমরা খুব একটা ভালো না খেলেও জিতেছি। আমরা নিজেরা কেউ করিনি, সব আল্লাহ করেছেন। আমাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়।’

সর্বোচ্চ গোলদাতা হবেন তা চিন্তাতে আনেননি এই ফরোয়ার্ড, ‘সত্যি বলতে আজকে মাঠে নামার পর চিন্তাতেও ছিল না আসরের টপ স্কোরার হবো। আমার চিন্তা ছিল দলকে এগিয়ে নেওয়ার। সেট পিসে একটা গোল করেছি। এটা আমি চিন্তাও করিনি, আল্লাহর অশেষ কৃপায় হয়েছে।’

গত আসরে থেকে ট্রফি জিততে পারেননি মিরাজুল, এবার আক্ষেপ মিটিয়ে বলেছেন, ‘আগের আসরে আমিও ছিলাম। কখনও ভাবিনি ভারতের কাছে ফাইনালে হারবো। হারার পর অনেক কান্না করেছি। কান্না করার পর চিন্তা করেছি, এত কান্না করে লাভ কী। সামনের দিনে কোনও না কোনও এক সময় আল্লাহ চাইলে চ্যাম্পিয়ন হবোই। আজকে যে চ্যাম্পিয়ন হলাম, সেটা ভাবতেও পারছি না।’

সেরা গোলকিপার হয়ে আসিফ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, দেশবাসীর দোয়া ও সতীর্থদের সমর্থনে আজ আমি দুই ম্যাচ খেলেই টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার হতে পেরেছি। বয়সভিত্তিক আগের আসরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি কখনও। শেষবার অনূর্ধ্ব-২০ আসরে রানার্স-আপ হয়ে সবাই খুব কান্নাকাটি করেছিলাম। এবার চেয়েছিলাম যাতে কান্নাকাটি করা না লাগে, একটা শিরোপা নিয়ে যেন দেশে ফিরতে পারি। এই অর্জনের আনন্দ অন্যরকম।’

চোট পাওয়া গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ মাঠে থেকেই দলের জয় দেখেছেন।  মাঠে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া যে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। ভারতের সঙ্গে খুব একটা কঠিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে এসেছিলাম। আমরা সবাই খুব মোটিভেটেড ছিলাম যে গ্রুপ পর্বে যেই নেপালের কাছে হেরেছিলাম, তাদের হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবো। সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম এবং মাঠে সেটা প্রমাণ করে শিরোপা জিতেছি। এখন আমার একটুও মনে হচ্ছে না যে আমি ইনজুরড ছিলাম। ইনজুরি এক সাইডে চলে গেছে, ট্রফি চলে আসছে।’

আরেক গোলদাতা রাব্বি হাসান রাহুল উচ্ছ্বসিত, ‘এই অনুভূতি বলে বোঝানোর মতো না। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন এখন পর্যন্ত। দেশে আমার যারা ভালোবাসার মানুষ ছিলেন, তারা চেয়েছিলেন যাতে আমি একটা গোল করি। আমি বিশেষ করে সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশেষ করে মিরাজকে। সবাই সাপোর্ট করেছে বলে গোল করতে পেরেছি। আমার ধারণা ছিল, সবার কাছে বলেছিলাম, নেপাল যেহেতু গ্রুপপর্বে জিতেছিল, ওদের আত্মবিশ্বাস ওপরের দিকে থাকবে। বলেছি, ওদেরটা ওপরে থাকুক, আমরা সুযোগটা নিবো। দর্শকের মধ্যে খেলতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি উপভোগ করে খেলেছি।’